Shahi Idgah-Krishna Janmasthan Dispute: মথুরায় শ্রী কৃষ্ণের 'জন্মস্থান' থেকে মসজিদ সরানোর আর্জি খারিজ

মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque) সরানোর আর্জি খারিজ করে দিল মথুরার এক আদালত। গত সপ্তাহে, একদল লোক আদালতে মামলা করে দাবি করেন ১৭ শতাব্দীর শাহি ইদগাহ মসজিদটি কাটরা কেশব দেব মন্দিরের ১৩ একর প্রাঙ্গণে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থানে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত হয়েছে। মথুরা সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জজের আদালতে সেই মামলা দায়ের করা হয়। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সিনিয়র দেওয়ানি বিচারক ছায়া শর্মার আদালতে করা এই আবেদনে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা এবং শাহি ইদগাহ পরিচালনা কমিটির মধ্যে জমি চুক্তি অনুমোদনের বিষয়ে ১৯৬৮ সালে মথুরা আদালতের রায় বাতিল করারও দাবি করা হয়েছিল।

Shahi Idgah and Krishna Janmasthan temple (Photo Credits: ANI)

মথুরা, ৩০ সেপ্টেম্বর: মথুরার (Mathura) শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque) সরানোর আর্জি খারিজ করে দিল মথুরার এক আদালত। গত সপ্তাহে, একদল লোক আদালতে মামলা করে দাবি করেন ১৭ শতাব্দীর শাহি ইদগাহ মসজিদটি কাটরা কেশব দেব মন্দিরের ১৩ একর প্রাঙ্গণে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্থানে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত হয়েছে। মথুরা সিনিয়র ডিভিশনের সিভিল জজের আদালতে সেই মামলা দায়ের করা হয়। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সিনিয়র দেওয়ানি বিচারক ছায়া শর্মার আদালতে করা এই আবেদনে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা এবং শাহি ইদগাহ পরিচালনা কমিটির মধ্যে জমি চুক্তি অনুমোদনের বিষয়ে ১৯৬৮ সালে মথুরা আদালতের রায় বাতিল করারও দাবি করা হয়েছিল।

শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলাকারী হলেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী-সহ শ্রীকৃষ্ণের সাত ভক্ত এবং আইনজীবী হরিশঙ্কর ও বিষ্ণু জৈন। এই মামলা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহী ইদগা মসজিদের ট্রাস্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু মামলাকারী নাবালক, তাই সেবায়েতদের মাধ্যমে নিজের সম্পত্তির দাবিতে মামলা করেছেন শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান। নিজের সম্পত্তি রক্ষা ও পুনুরুদ্ধারের সবরকম অধিকার রয়েছে মামলাকারীর। সেবায়েত বা তাঁদের অবর্তমানে বন্ধুবর্গেরর মাধ্যমে মামলা প্রক্রিয়া চলবে। আরও পড়ুন: Babri Masjid Demolition Case: বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আদবানি সহ ৩২ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

তবে শাহি ইদগাহ মসজিদ অপসারণের জন্য আবেদনের নিন্দা করেছিলেন পুরোহিতদের আরেকটি সংস্থা। আখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভার সভাপতি মহেশ পাঠক বলেন, “কয়েকজন বাইরের লোক মন্দির-মসজিদ ইশু তুলে মথুরায় শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।" তিনি আরও বলেন, বিংশ শতাব্দীতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পরে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থানে মথুরায় কোনও মন্দির-মসজিদ বিরোধ নেই। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে দেশে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র বদলানোর উপরে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রেখে দিতে হবে। কোনও আদালত এই বিষয়ে আর্জি শুনতেও পারবে না। তবে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলার ক্ষেত্রে এই আইনে ছাড় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।