শ্রীনগরে পৌঁছেও বাধার মুখে গুলাম নবি আজাদ, বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখতে পারলেন না কংগ্রেস নেতা
কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস বিলোপ হয়েছে। কাশ্মীরের এই পুনর্গঠন নিয়ে শুরুতেই বিজেপিকে একহাত নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমেও শহরে ঢুকতে পারলেন না তিনি।
শ্রীনগর, ৮ আগস্ট: কাশ্মীরের বিশেষ স্টেটাস বিলোপ হয়েছে। কাশ্মীরের এই পুনর্গঠন নিয়ে শুরুতেই বিজেপিকে একহাত নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বৃহস্পতিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমেও শহরে ঢুকতে পারলেন না তিনি। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ঢোকার অনুমতি দিল না পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বসে থেকে ফের দিল্লি ফিরে আসেন তিনি। এদিন কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময়ই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তিনি। গতকাল সোপিয়ানের রাস্তায় স্থানীয়দের সঙ্গে বসে বিরিয়ানি খাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই ছবি থেকে কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, টাকায় অনেক কিছু হয়। আরও পড়ুন-৩৭০- ধারার বিলোপে কাশ্মীরে অলিখিত কারফিউ, পুলিশের তাড়ায় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দ্বিধা করেননি গুলাম নবি আজাদ। বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানকে খুন করল। একই সঙ্গে হত্যা করল দেশের গণতন্ত্রকেও।” আর যখন ইন্টারনেট, টেলিফোন হীন উপত্যকাকে শান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত অজিত ডোভাল, তখন প্রবীণ কংগ্রেস নেতার মাথা গরম হওয়াটাই স্বাভাবিক। আম কাশ্মীরিরা জানতেই পারেননি কী ঘটছে। শুধু সেনার বুটের দাপাদাপি ও ১৪৪ ধারার ফরমান তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছে। বিপর্যয় এসে পৌঁছেছে দোরগোড়ায়। ঘরে আগল দিয়েও তাকে আর রোখা যাবে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আর কাশ্মীরে নেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করতেই সেনার বুলেট সক্রিয় হয়ে উঠছে। মারমুখী বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে গতকালই ঝিলাম নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল বছর সতেরোর কিশোর। তার মৃত্যু হয়েছেষ শতাধিক বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাইলেও সকলে কার্ফিউ পাস পাচ্ছেন না। এরপরে ডোভালের বক্তব্যের কটাক্ষ না করে পারেননি গুলাম নবি আজাদ। আঁতে ঘা লেগেছে বিজেপির, তাইতো শাহনওয়াজ হোসেন ডোভালের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। তবে বিজেপি নেতার বক্তব্যে একেবারেই পাত্তা দেননি কংগ্রেস নেতা।
এদিন কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখতে চেয়েছিলেন। সরকারের ভয়ছিল জননেতা উপত্যকায় পা দিলেই মানুষ খেপে যাবে। ছোট ছোট বিক্ষোভ বিদ্রোহের চেহারা নিয়ে টেকা মুশকিল হয়ে যাবে। তাই অশান্তি এড়াতে গুলাম নবি আজাদকেই শ্রীনগর বিমানবন্দরের বাইরে বেরতে দেওয়া হল না।