Karnataka Hijab Row: ভারতের সংস্কৃতিতে 'পর্দাপ্রথা' রয়েছে, মুসকানের পাশে RSS-র মুসলিম শাখা
এবার মুসকানের সমর্থনে আরএসএস বলল, ভারতীয় সংস্কৃতিতে "পর্দা প্রথা" রয়েছে। সংঘ পরিবারের মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ এদিন মুসকান খানের হিজাব পরিধানের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে ঘিরে গেরুয়াধারীদের নিন্দায় মুখর হয়েছে।
অযোধ্যা, ১০ ফেব্রুয়ারি: হিজাব বিতর্কে (Karnataka Hijab Row) নয়া মোড়। কর্ণাটকের মুসলিম ছাত্রী মুসকান কানের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। এই মুসকান খান তাঁকে ঘিরে "জয় শ্রীরাম স্লোগান " দেওয়া ছাত্রদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার মুসকানের সমর্থনে আরএসএস বলল, ভারতীয় সংস্কৃতিতে "পর্দা প্রথা" রয়েছে। সংঘ পরিবারের মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ এদিন মুসকান খানের হিজাব পরিধানের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁকে ঘিরে গেরুয়াধারীদের নিন্দায় মুখর হয়েছে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের সঞ্চালক অনিল সিং ও অবোধ প্রান্ত এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন, " মুসকানআমাদের সম্প্রদায়ের বোন, মেয়ে। তাঁর দুঃসময়ে আমরা পাশে আছি।" আরও পড়ুন- Karnataka Hijab Row: কর্ণাটকের প্রতিবাদী ছাত্রী মুসকানকে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেবে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ
এক বিবৃতিতে এদিন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ জানায়, "হিন্দু সংস্কৃি মহিলাদের সম্মান জানানোর শিক্ষা দেয়। অন্যদিকে যারা ওই তরুণীকে আতঙ্কিত করার জন্য ঘিরে ধরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছিল, তারা ভুল। ওই তরুণীর হিজাব পরার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। যদি তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পোশাক বিধি লঙ্গন করে থাকেন, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। সেখানে গলায় গেরুয়া উত্তরীয় ঝুলিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া ছেলেদের কার্যকলাপ মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তারা হিন্দু সংস্কৃতির অবমাননা করেছে।"
অনিল সিং আরও বলেন, " হিজাব ও পর্দা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। চাইলে হিন্দু মহিলারাও পর্দা. থাকতে পারেন। বিবি মুসকানের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। মুসলিমরা আমাদের ভাই। দুই সম্প্রদায়ের ডিএনএ একই। মুসলমানদের ভাই হিসেবে মেনে নিতে আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে আবেদন রাখছি।"