Ram Jethmalani Passes Away: বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রতিথযশা আইনজীবী রাম জেঠমালানি প্রয়াত

দেশের প্রাক্তন আইন মন্ত্রী ও প্রতিথযশা আইনজীবী রাম জেঠমালানি ৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। অবিভক্ত ভারতে 1923 সালে অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধপ্রদেশের শিকারপুরে রাম বুলচাঁদ জেঠমালানির জন্ম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। গত দু সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা একেবারে সঙ্কটজনক ছিল।

প্রয়াত রাম জেঠমালানিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo Credits: Twitter/@AmitShah)

নয়া দিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর: Ram Jethmalani dies at 95- দেশের প্রাক্তন আইন মন্ত্রী ও প্রতিথযশা আইনজীবী রাম জেঠমালানি ৯৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। অবিভক্ত ভারতে 1923 সালে অধুনা পাকিস্তানের সিন্ধপ্রদেশের শিকারপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম বুলচাঁদ জেঠমালানির । মাত্র 17 বছর বয়েসে বড় ডিগ্রি পেয়ে ওকালতির কাজ শুরু করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। গত দু সপ্তাহ ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা একেবারে সঙ্কটজনক ছিল। আজ দিল্লিতে নিজের বাসভবনেই প্রয়াত হন তিনি।

তাঁর ছেলে মহেশ জেঠমালানি, যিনি এখন একজন বড়মাপের আইনজীবী ও আমেরিকায় তাঁর মেয়ে মৃত্যুর খবর জানান। অটল বিহারী বাজপেয়ী-র আমলে তিনি কেন্দ্রীয় আইন ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। তিন দফায় তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রথমবার ১৯৯৬ সালে। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় সেবার এক মাসের জন্য আইন মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপর দু বছর বাদে বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় এক মাসেরও কম সময়ের জন্য হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। আর তৃতীয়বার বছরখানেকের জন্য ১৯৯৯ জুনে- সেবার ফের দেশের আইন মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।

তবে পরে দলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ২০০৪ লোকসভা নির্বাচনে খোদ অটল বিহারী বাজপেয়ীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।  পরবর্তীকালে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁর মত পোড়খাওয়া আইনজীবী দেশে খুব কম ছিল। আদালতে বহু যুদ্ধের নায়ক তিনি। আরও পড়ুন-৩৭০-এর গেরো, পাকিস্তানের আকাশ সীমায় ঢুকতে পারবে না রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমান

এমন বেশ কিছু জটিল কেসে লড়ছেন যা সবাইকে চমকে দেওয়ার মত। ষষ্ঠ ও সপ্তম লোকসভায় তিনি মুম্বই থেকে বিজেপি-র টিকিটে জিতে এসে সাংসদ হয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশিদিন আইন পেশায় থাকার রেকর্ড গড়ে তিনি বছর দুয়েক আগে অবসর নিয়েছিলেন। ১৯৪০ সাল থেকে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। বিজেপি-র হয়ে তিনি অনেক লড়াই আদালতে লড়েছিলেন।