ভারতীয় রেলের 'মেকওভার'-এ সাতটি প্রোডাকশন ইউনিটের বেসরকারীকরণ, ট্র্যাকে প্রাইভেট প্য়াসেঞ্জার ট্রেন!

ভারতীয় রেলকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে নয়া পথে হাঁটতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। খুব শীঘ্রই দেশের সাতটি রেলওয়ে প্রোডাকশন ইউনিট (ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিন তৈরির কারখানা)-গুলিকে কর্পোরেট সংস্থার আওতায় বা বেসরকারীকরন করতে পারে রেল মন্ত্রক। পাশাপাশি প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার ট্রেনও দেশের রেলওয়ে ট্র্যাকে ছুটতে দেখা যেতে পারে।

বন্দে ভারত-এর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo Credits: PIB)

নয়া দিল্লি, ১ অগাস্ট: Narendra Modi Govt to Privatise 7 Railways Production Units- ভারতীয় রেলকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে নয়া পথে হাঁটতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। খুব শীঘ্রই দেশের সাতটি রেলওয়ে প্রোডাকশন ইউনিট (ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিন তৈরির কারখানা)-গুলিকে কর্পোরেট সংস্থার আওতায় বা বেসরকারীকরন করতে পারে রেল মন্ত্রক। পাশাপাশি প্রাইভেট প্যাসেঞ্জার ট্রেনও দেশের রেলওয়ে ট্র্যাকে ছুটতে দেখা যেতে পারে। রায়বেরালিতে আধুনিক কোচ ফ্যাক্টারি, চেন্নাইয়ে 'ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি'সহ দেশের সাতটি প্রোডাকশন ইউনিটকে কর্পোরেট করার প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে কিছু সময় লাগতে পারে।

Economic Times-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের ভারতীয় রেলকে আধুনিককরণের জন্য ১১টি প্রস্তাব জমা পড়েছে, তার মধ্যে থেকে ৬টি প্রস্তাবকে বাস্তবে রূপ দিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ট্রেনের কামরা এবং ইঞ্জিন তৈরির কারখানাগুলিকে কর্পোরেট সংস্থার আওতায় আনার কথা ভাবছে ভারতীয় রেল। আরও পড়ুন-NRC: অসমে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জী নিয়ে সন্তোষ সামান্য, তীব্র অসন্তোষের পাল্লাই বেশ ভারী

গত ৩০ মে দ্বিতীয় বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি টু সরকার আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ১০০ দিনে পা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আগেই তাঁর মন্ত্রীদের ১০০ দিনের মধ্য়ে প্রকল্পের কাজ রূপায়নের রিপোর্ট ও আগামী ১০০ দিনের ব্লু প্রিন্ট জমা দিতে বলেছিলেন। রেলমন্ত্র ৬টি প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল, যার মধ্যে মাত্র দুটি সম্পূর্ণ হয়েছে। একটি হল-১৩,৪৯০ কোটি টাকা খরচ করে দিল্লি-কলকাতা, ও দিল্লি-মুম্বই রেলপথের গতি বৃদ্ধি করা। যাতে ট্র্যাকের আধুনিককরণ করে ওই দুই রেল রেটের গতি ১৩০ থেকে ১৬০ কিমি করা সম্ভব হয়। অপর যে প্রকল্পটি ১০০ দিনে শেষ হয়েছে তা হল দুটি ট্রেন আইআরসিটি (IRCTC)-র কাছে হস্তান্তর করা। ভারতীয় রেলের ভর্তুকিতে চলা দুটি ট্রেন এখনও চালু হয়নি। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেলরুটগুলির ২,৫৬৮টি লেভেল ক্রসিংয়ের প্রতিটিতে লোক নিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রাও নিয়েছে ভারতীয় রেল।