মিথ্যে মামলায় জর্জরিত আপনি না বাঁচালে আত্মহননের অনুমতি দিন, রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি ২ বোনের
মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাদের বাঁচান, রাষ্ট্রপিত রামনাথ কোবিন্দকে নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন দুই বোন। পাঞ্জাবের মোগা শহরের বাসিন্দা দুই বোনের অভিযোগ তাঁদের গোটা পরিবারকে কবুতরবাজি, জালিয়াতি ও ফ্রড কেসে ফাঁসানো হয়েছে।
মোগা, ৬ জুলাই: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমাদের বাঁচান, রাষ্ট্রপিত রামনাথ কোবিন্দকে (President Ramnath Kobind)নিজেদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন দুই বোন। পাঞ্জাবের মোগা শহরের বাসিন্দা দুই বোনের অভিয়োগ তাঁদের গোটা পরিবারকে কবুতরবাজি, জালিয়াতি ও ফ্রড কেসে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ৪২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গোটাটাই মিথ্যে অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কথা শুনতেই চাইছে না। এখন যদি রাষ্ট্রপতি নিজে কোনও সুবিচারের ব্যবস্থা না করেন, তাহলে গোটা পরিবারকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেন। আরও পড়ুন-ব্রিটিশ শাসন নাকি! গায়ে ধুতি থাকায় শতাব্দীর কামরায় উঠতে পারলেন না অশীতিপর বৃদ্ধ
কবুতরবাজি অর্থে ভিসা জালিয়াতির কথা বলে হয়েছে। দুই বোনের অভিযোগ, তাঁদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তারা লিখেছে, আমরা সব সময় আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। আমরা ফাঁদে পড়েছি। পুলিশকে বলছি, আপনারা তদন্ত করে দেখুন, সত্যিটা কী। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছে না। চিঠিতে লেখা আছে, ন্যায়বিচার যদি না পাই, আমাদের সকলকে আত্মহত্যা করার অনুমতি দেওয়া হোক। এটা আমাদের দাবি।যদি রাষ্ট্রপতি না বাঁচান তাহলে গোটা পরিবারকেই সুইসাইড করতে হবে। কেননা মিথ্যে মামলায় ফাঁসার অপমান নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। এই সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে হুমকি চলছে। এমন আতঙ্কের পরিবেশে তাঁদের দম বন্ধ হয়ে আসছে।
এই প্রসঙ্গে মোগার পুলিশ অফিসার কুলজিন্দর সিং অবশ্য দুই বোনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই বোন য়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সেই খবর পেয়েছি। তবে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা আছে। তদন্তও হচ্ছে। দুই বোন আমার কাছে এসেছিল। অভিযোগ, কে নাকি মিথ্যা মামলা করেছে তাদের নামে। মামলাকারীর ধারণা, দু’জন একটি সংস্থার এজেন্ট। অভিযোগকারীর ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ওই সংস্থা টাকা নিয়েছিল।