ত্রিপুরাতে এনআরসি চেয়ে দলে ব্রাত্য, প্রধান পদ-সহ কংগ্রেস ছাড়লেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন

আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়লেন ত্রিপুরার কংগ্রেস (Tripura Congress) প্রধান প্রদ্যোৎ দেব বর্মন (Pradyot Deb Barman)। অসমের ধাঁচে ত্রিপুরাতেও এনআরসি (resignation) হোক, এটাই চেয়েছিলেন প্রদ্যোৎবাবু। আর তারপর থেকেই ঘরে বাইরে নিরন্তর সমালোচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা প্রদ্যোৎবাবুর এহেন বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হন। একজন দলনেতা হয়ে তিনি কী করে এমন একটা কথা বললেন তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়।

প্রদ্যোৎ দেব বর্মন(Photo Credit: PTI)

আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর: আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়লেন ত্রিপুরার কংগ্রেস (Tripura Congress) প্রধান প্রদ্যোৎ দেব বর্মন (Pradyot Deb Barman)। অসমের ধাঁচে ত্রিপুরাতেও এনআরসি (resignation) হোক, এটাই চেয়েছিলেন প্রদ্যোৎবাবু। আর তারপর থেকেই ঘরে বাইরে নিরন্তর সমালোচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক সহকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা প্রদ্যোৎবাবুর এহেন বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব হন। একজন দলনেতা হয়ে তিনি কী করে এমন একটা কথা বললেন তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। শেষে উপায় না দেকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে গেলেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন। ত্রিপুরার কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে যাঁরা যাঁরা প্রদ্যোৎবাবুর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য ইনচার্জ লুইজিনহো ফালেইরো।

জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে দল ছাড়লেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন। তিনি লিখেছেন, এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে ভারমুক্ত লাগছে। কোনও মিথ্যেবাদী বা চোরের বক্তব্য সোনা ছাড়াই এবার থেকে আমার দিন শুরু হবে। কোনও সহকর্মী পিছন থেকে ছুরি চালাচ্ছে কি না সেই ভয় আর আমাকে তাড়া করে ফিরবে না। আরও পড়ুন-NRC নিয়ে বলতে পয়লা অক্টোবর, তৃতীয়ায় কলকাতায় সভা অমিত শাহ-র, নেতাজি ইন্ডোরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-র সভার সহজেই অনুমতি দিল প্রশাসন

চলতি মাসের শুরুতেই এনআরসি-র দাবি তুলেছিলেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন। সেই সময় দলের অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে চোখ কুঁচকেছিলেন। প্রদ্যোৎবাবুর বক্তব্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরি হওয়াটা খুব জরুরি। তাহলে অবৈধভাবে যাঁরা ত্রিপুরাতে বসবাস করছেন তাঁদের চিহ্নিত করা সহজ হবে। এর জেরে গোটা রাজ্যে সার্বিক উন্নতি সাধন হবে। তাঁর এহেন মতামত প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দুরত্ব বাড়তে শুরু করে। শুধু সতীর্থ রাজনীতিকরাই নন, দলও এনআরসি-র বিরোধিতা করছে. সেখানে এই বক্তব্য যে ত্রিপুরায় কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। এসব কারণেই দলে থেকেও একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন। এদিন তাই পদত্যাগের পর হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।