তমলুক লোকসভা কেন্দ্র

অধিকারী সাম্রাজ্যের এই আসন তৃণমূলের সেফ সিট হিসেবে ধরা হয়। সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এখানে ফুল ফুটিয়েছিলেন।

অধিকারী সাম্রাজ্যের এই আসন তৃণমূলের সেফ সিট হিসেবে ধরা হয়। সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এখানে ফুল ফুটিয়েছিলেন। শুভেন্দু পরে সাংসদ পদ ছেড়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। নন্দীগ্রামের মহানায়ক হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু-র ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখান থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন। এই লোকসভার সাতটা বিধানসভাতেই তৃণমূলের একচ্ছত্র রাজ। তবে বিজেপি অধিকারী সাম্রাজ্যের অধিকার কাড়তে খুব পরিশ্রম করছে। যদিও অধিকারীদের মূল লড়াইটা সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি-র বিরুদ্ধেই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে দু বছর আগে উপনির্বাচনে তৃণমূল এই আসনে প্রায় ৫ লক্ষ ভোটে জিতেছে।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা

দিব্যেন্দু অধিকারী (তৃণমূল)

শেখ ইব্রাহিম আলি (সিপিএম)

সিদ্ধার্থ নস্কর (বিজেপি)

লক্ষ্ণণ শেঠ (কংগ্রেস)

২০১৬ লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফল

দিব্যেন্দু অধিকারী (তৃণমূল)- ৭,৭৯,৫৯৪

মনীন্দ্র পান্ডে (সিপিএম)- ২,৮২,০৬৬

অম্বুজ মোহান্তি (বিজেপি)- ১,৯৬,৪৫০

বট্টব্যাল পার্থ (কংগ্রেস)- ১৯,৮৫১

ফলাফল-

দিব্যেন্দু অধিকারী (তৃণমূল) জয়ী ৪,৯৭,৫২৮ ভোটের ব্যবধানে।

২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী এখান থেকে ২,৪৬,৪৮১ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি। এরপর শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। আর সেই কারণেই হয় উপনির্বাচনে।

কী এগিয়ে

অনেকটা এগিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী (তৃণমূল)