Maharashtra Government Formation: শিবসেনার পাশে নেই এনসিপি-কংগ্রেস, তাহলে কি মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে বিজেপি?
না ক্ষমতার জন্য দলীয় মতাদর্শকে বিসর্জন দিতে রাজি হলেন না কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য এনসিপি-শিবসেনা জোটের আরও লোকবল দরকার ছিল। কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন দিলে বিজেপির দাদাগিরি সেখানে ধোপে টিকত না। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শকে বিসর্জন দিয়ে শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ কংগ্রেস। দিনভর জল্পনার শেষে তাই এনসিপিকে খালি হাতেই ফিরতে হল।
নতুন দিল্লি, ৫ নভেম্বর: না ক্ষমতার জন্য দলীয় মতাদর্শকে বিসর্জন দিতে রাজি হলেন না কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সরকার গঠনের জন্য এনসিপি (NCP) -শিবসেনা জোটের আরও লোকবল দরকার ছিল। কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন দিলে বিজেপির দাদাগিরি সেখানে ধোপে টিকত না। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শকে বিসর্জন দিয়ে শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ কংগ্রেস। দিনভর জল্পনার শেষে তাই এনসিপিকে খালি হাতেই ফিরতে হল। সোমবার সকালে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেবেন্দ্র উডনবিশ। বিকেলে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী। দুটি বৈঠকের দিকে নজর থাকলেও আলো কেড়ে নেয় পাওয়ার-গান্ধী বৈঠক। শেষপর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দায় পড়ল বিজেপির কাঁধেই।
এককথায় বিজেপির কোর্টে বল ঠেলে শাহদের কোণঠাসা করার নীতি নিয়েছেন এনসিপি-প্রধান শরদ পাওয়ার। শিবসেনাকে সামনে রেখে এনসিপি-কংগ্রেস সরকার গড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন পাওয়ার ও সনিয়া। বৈঠক শেষে পাওয়ার বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য বিরোধী আসনে বসা।’’ শিবসেনা সরকার গড়তে এনসিপি-র সমর্থন চেয়েছে বলে যে জল্পনা ছিল তা-ও উড়িয়ে দিয়ে পাওয়ার (Sharad Pawar) বলেন, ‘‘শিবসেনা আমাদের সমর্থন চায়নি। আমরাও আগ বাড়িয়ে ওদের সমর্থন দিতে চাইনি।’’ অন্যদিকে অর্ধেক সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে এখনও অনড় শিবসেনা। সোমবার বিকেলে রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেন দলের নেতা সঞ্জয় রাউত ও রামদাস কদম। পরে রাউত বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে রাজ্যপালের কাছে। শিবসেনা যে সরকার গড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না, তা-ও বলা হয়েছে তাঁকে।’’ আরও পড়ুন-Maharashtra Government Formation: মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে এনসিপি শিবসেনা জোটকে সমর্থন করবেন সোনিয়া গান্ধী? তুঙ্গে জল্পনা
শোনা যাচ্ছে উপ-মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েই খুশি থাকবে শিবসেনা শিবির। তবে তারপরেও যদি জট না খোলে তখন নতুন করে ভোটে যাওয়া নিয়ে পরিষদীয় দল কী ভাবছে, তা দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাতে বলা হয়েছে ফডণবিশকে। দল যে প্রয়োজনে পুনর্নির্বাচনের কথা ভাবছে, সেই জল্পনা উস্কে দিয়ে পর্যটনমন্ত্রী জয়কুমার রাওল বলেছেন, ‘‘আবার লড়তে দেওয়া হোক।’’