অশোক গহৌলতকে সরিয়ে শচিন পায়লটকে আনুন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে রাজস্থান কংগ্রেসে ঘোর কোন্দল
রাজস্থান কংগ্রেসে অশনি সংকেত।
জয়পুর, ৬জুন: লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার আগেই মধ্যপ্রদেশে শাসকদল কংগ্রেসের মধ্যেই শুরু হয়েছিল জোর কোন্দল। বিজেপির দাবি ছিল, কংগ্রেস রাজ্যের শাসনভার চালাতে পারছে না, মুখ্যমন্ত্রী মদত্যাগ করুন। ভোট সেষ বিজেপি ফের ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি এতটুকুও বদলায়নি। উল্টে কংগ্রেস শাসিত আর এক রাজ্যে রাজস্থানেও (Rajasthan Congress) শুরু কোন্দল। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহৌলতকে (Ashok Gehlot) পদচ্যুত করে উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পায়লটকে দায়িত্বভার দেওয়ার দাবি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। আরও পড়ুন- Air hostess gangraped: মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে ২৫ বছরের এয়ার হোস্টেসকে ধর্ষণ সহকর্মীর, তিন পুরুষ-এক মহিলার উপস্থিতিতে হল rape
প্রদেশ কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বিধায়ক পৃথ্বীরাজ মীনা (Prithviraj Meena ) বুধবার বলেছেন, ‘‘ভোটের ফলাফলেই বোঝা গিয়েছে অশোক গহলৌতের উপর আর ভরসা নেই রাজ্যের মানুষের। এ বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত সচিন পায়লটের ( Sachin Pilot)।’’ রাজস্থানের তোড়া ভিম আসনের বিধায়ক মীনা এও বলেছেন, ‘‘বয়সে তরুণ সচিন আরও ভাল কাজ করতে পারবেন।’’ তিনি মনে করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত রাজ্যের জাঠ ও গুজ্জর শ্রেণির ভোটারদের একসূত্রে বেঁধে রাখতে পারেননি।
ভোটে ভরাডুবির পর রাজস্থান কংগ্রেসে বিক্ষোভ দানা বাঁধছে, এই আঁচ করেই এক সাক্ষাৎকারে গহলৌত বিপর্যয়ের জন্য দায় চাপিয়েছিলেন সচিন পায়লটের ঘাড়ে। বলেছিলেন, ‘‘উনি (সচিন) তো বলেছিলেন, আমার ছেলেকে (বৈভব) উনিই টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। হাইকমান্ডকে নাকি এও বলেছিলেন, আমার ছেলেকে উনি ঠিক জিতিয়ে আনবেন। বলেছিলেন, ৬ জন বিধায়ককে প্রচারে পাঠিয়েছেন জোধপুরে, আমার ছেলেক জিতিয়ে আনার জন্য। কিন্তু আমার ছেলে তো জিততে পারেননি। এ বার সেই পরাজয়ের দায়টাও উনি (সচিন) নিন।’’ বিজেপি প্রার্থীর কাছে এ বার জোধপুর আসনে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন গহলৌতের ছেলে বৈভব। জোধপুর কংগ্রেসের পুরনো আসন।
এদিকে পূর্ব রাজস্থানের মীনা উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পৃথ্বীরাজের প্রভাব দীর্ঘ দিনের। ভোটের পর থেকেই মীনা সম্প্রদায় সরব হয়েছে গহলৌতের বিরুদ্ধে। ওই সম্প্রদায়ের আরও দুই কংগ্রেসি বিধায়ক রমেশ মীনা ও উদয়লাল অঞ্জনা এর আগে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের নামোল্লেখ না করে বলেছেন, ‘‘কার জন্য এমন হল, এ বার সেটা বেছে নেওয়ার সময় এসেছে।’’ কে থাকবেন ক্ষমতার শীর্ষে তানিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে।