পরিস্থিতি যদি খুব খারাপ হয় তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হোক: অধীর চৌধুরি

বিজেপির (BJP) পর এবার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের (President's Rule) দাবি জানাল কংগ্রেস (Congress)। বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Choudhury) এই দাবি জানান। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি যদি সত্যিই খারাপ হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হোক। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির মনোভাব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, "রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে উঠেপড়ে লেগেছে। সত্যিই যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হোক। কিন্তু আমার প্রশ্ন বিজেপি নেতারা কেনও এটা নিয়ে এত তৎপর নয়।"

অধীর চৌধুরী( Photo Credits-Facebook)

নতুন দিল্লি, ১১ অক্টোবর: বিজেপির (BJP) পর এবার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের (President's Rule) দাবি জানাল কংগ্রেস (Congress)। বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি (Adhir Choudhury) এই দাবি জানান। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি যদি সত্যিই খারাপ হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হোক। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির মনোভাব নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, "রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে উঠেপড়ে লেগেছে। সত্যিই যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়ে থাকে তবে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হোক। কিন্তু আমার প্রশ্ন বিজেপি নেতারা কেনও এটা নিয়ে এত তৎপর নয়।"

কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করার পর থেকেই চিটফান্ড তদন্তের গতি কমেছে। নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জির মধ্যে কি কোনও চুক্তি হয়েছে? রাজ্য সরকারের প্রতি বিজেপি নেতারা কতটা সিরিয়াস মনোভাব নিয়েছে তা নিয়েও বেশ সন্দেহ রয়েছে।" আরও পড়ুন: Kolkata: 'আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে অপরাদীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন', জিয়াগঞ্জে খুন নিয়ে টুইট অপর্ণা সেনের

বিজয়া দশমীতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad district) জিয়াগঞ্জে বাড়ির ভিতরে ঢুকে স্কুল শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করার অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৩৫), স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) ও তাঁদের বছর আটের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পাল। জিয়াগঞ্জ থানার কানাইগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দশমীর দিন বেলা ১২টা নাগাদ তিনজনের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির ভিতর থেকে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে বন্ধুপ্রকাশ পালকে তাদের সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) পশ্চিমবঙ্গের সেক্রেটারি জিষ্ণু বসু। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তীব্র সমালোচনা করে রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সংঘ (RSS) পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) রাষ্ট্রপতি শাসন (President Rule) জারি করার সময় এসেছে কি না তা কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। RSS নেতা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার (Alok Kumar) বলেন, "এটা দেখা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। শাসকদল তৃণমূল বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের উপরে অত্যাচার করছে। ভাঙচুর, লুট, ধর্ষণ, খুন করছে।" তিনি আরও বলেন, "আমি আবাক হচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনা করা উচিত যে ভারতের সংবিধান মেনে পশ্চিমবঙ্গে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারবে কি না। না হলে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগুর সময় এসেছে কি না তার বিষয়ে বিবেচনা করুক তারা।" অলোক কুমারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কেরালার (Kerela) চেয়েও খারাপ। এখনও পর্যন্ত কেরালায় সবচেয়ে বেশি RSS কর্মী খুন হয়েছে।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরও। তিনি বলেন, "যে পরিস্থিতির মধ্যে সবাই জীবনযাপন করছে এই ঘটনা তারই প্রতিফলন।" তিনি সরাসরি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।