Maharashtra Government Formation: দেবেন্দ্র ফডনবিশ ও অজিত পাওয়ারকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
চূড়ান্ত নাটকের অবসান। শনিবার ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (NCP) সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করল BJP৷ আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ(Devendra Fadnavis) ৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন NCP-র অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) ৷ রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Governor Bhagat Singh Koshyari) তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান৷ দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং অজিত পাওয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)৷। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহারাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা দায়িত্বপূর্ণভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।"
মুম্বই, ২৩ নভেম্বর: চূড়ান্ত নাটকের অবসান। শনিবার ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (NCP) সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করল BJP৷ আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ(Devendra Fadnavis) ৷ উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন NCP-র অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) ৷ রাজভবনে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Governor Bhagat Singh Koshyari) তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান৷ দেবেন্দ্র ফডনবিশ এবং অজিত পাওয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)৷। টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মহারাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা দায়িত্বপূর্ণভাবে কাজ করবেন বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।"
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)৷ টুইটে তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্রের বিকাশের জন্য এই সরকার সবসময় সচেষ্ট থাকবে ৷ উন্নয়নের নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।" আরও পড়ুন: Maharastra: সাত সকালেই চমক, দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ, ডেপুটি হলেন এনসিপি-র অজিত পাওয়ার
২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় ৷ ২৮৮ আসনের বিধানসভায় BJP জেতে ১০৫টি আসন ৷ শিবসেনা পায় ৫৬টি আসন ৷ NCP জেতে ৫৪টি আসনে৷ কংগ্রেস পায় ৪৪টি আসন৷ BJP এবং শিবসেনা জোট করে নির্বাচনে লড়ে৷ আর কংগ্রেস ও NCP জোট করে লড়েছিল ৷ কিন্তু, ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে শিবসেনা এবং BJP-র মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়৷ শিবসেনা দাবি করে, আড়াই বছর করে দুটি দলের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন৷ তাতে রাজি হয়নি BJP৷ এরপর NCP এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠনের তোড়জোড় করে শিবসেনা ৷ এরই মাঝে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। গতকাল কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিপির বৈঠক কার্যত চূড়ান্ত হয়ে যায়, সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেই হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে সব দল সম্মতি দিয়েছে। ছেলে আদিত্যকে নিয়ে বেরিয়ে এসে যদিও এব্যাপারে ভেঙে বলতে চাননি উদ্ধব। শিবসেনা সুপ্রিমো জানান, আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে। গতকাল রাতেও শরদ পাওয়ার জানিয়েছিলেন, তিন দল সহমতে পৌঁছেছে। উদ্ধব ঠাকরেই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বারো ঘণ্টা না কাটতেই রাজনীতিতে এমন পট পরিবর্তন নজিরবিহীন। সকালেই দেখা গেল এনসিপি বিধায়ক তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ নিতে। এনসিপির হাত ধরেই বিজেপি রাতারাতি সরকার গড়ার প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে রাখে।
দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দেবেন্দ্র ফডনবিশ বলেন, "জনগণ আমাদের একটি স্পষ্ট রায় দিয়েছিল। তবে আমাদের মিত্র শিবসেনা ফলাফলের পরে অন্যান্য দলের সঙ্গে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ফলস্বরূপ, রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়। মহারাষ্ট্রে একটি খিচুড়ি সরকার নয়, একটি স্থিতিশীল সরকার দরকার ছিল।" তিনি আরও বলেন, "আমি এনসিপি-র অজিত পাওয়ারজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, তিনি মহারাষ্ট্রে স্থিতিশীল সরকার এবং বিজেপির সঙ্গে একত্রিত হওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অন্য কয়েকজন নেতাও আমাদের সঙ্গে এসেছেন। এবং আমরা সরকার গঠনের দাবি জানালাম।" উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, "রাজ্যে কোনও সরকার না থাকায় কৃষকরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই আমরা স্থিতিশীল সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"