Priyanka Gnadhi: ‘কাপুরুষ সরকার’, জামিয়ার পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্রকে তুলোধনা প্রিয়াঙ্কার

কাপুরুষ সরকার হল কেন্দ্রের মোদি সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন প্রিয়াঙ্কা তাঁর টুইটে লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ছাত্রদের পিটিয়েছে পুলিশ। এই সময়ে যখন মানুষের মতামত শোনার কথা সরকারের, তখন বিজেপি সরকার পুলিশ দিয়ে ছাত্রআন্দোলন দমন করতে চাইছে। উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, সর্বত্র ছাত্র আর সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এটা একটা ভিতু সরকার।”

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর: কাপুরুষ সরকার হল কেন্দ্রের মোদি সরকার। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন প্রিয়াঙ্কা তাঁর টুইটে লিখেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে ছাত্রদের পিটিয়েছে পুলিশ। এই সময়ে যখন মানুষের মতামত শোনার কথা সরকারের, তখন বিজেপি সরকার পুলিশ দিয়ে ছাত্রআন্দোলন দমন করতে চাইছে।  উত্তর-পূর্ব থেকে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, সর্বত্র ছাত্র আর সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এটা একটা ভিতু সরকার।” কেন্দ্র আজ যুবসমাজের বক্তব্যে বিক্ষোভে কর্ণপাত করছে না। তবে একদিন না একদিন তাদের কথা সরকারকে শুনতেই হবে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আগুলে জ্বলছে দেশ (India)। উত্তপ্ত উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত। দিল্লিতে ব্যাপক বিক্ষোভ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jamia Millia Islamia University)। পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা শামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হয় পুলিশকে। লাঠিচার্জ থেকে কাঁদানে গ্যাস- বাদ পড়েনি কিছুই। শনিবারই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানিয়েছিলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস (Campus) থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবেন। ওই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন প্রায় দু’হাজার পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরেই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকায় পুলিশ। সেখান থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড টপকে এগোতে শুরু করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আহত হন প্রায় ৬৩ জন। এবার রবিবারের ঘটনায় যোগ হল নতুন মোড়। ছাত্রদের মারধরও গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে ঝলসে উঠেছে গোটা দেশ। আর এই মুহূর্তেই কেন্দ্রকে ‘ভিতু সরকার’ বলে আখ্যায়িত করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আরও পড়ুন-Jamia Millia Islamia University Standoff: জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০জন আটক ছাত্রকে ছাড়ল পুলিশ, একদিন পর রাজধানীতে স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা

শুধু দিল্লি নয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় নানা রাজ্যের ছবি-ভিডিওতে। পথে নামে হায়দরাবাদের মৌলানা আজাদ উর্দু ইউনিভার্সিটি, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, বম্বে আইআইটি। বিরাট মিছিল সংগঠিত হয় কেরালার একাধিক জেলায়। বাদ ছিল না কলকাতাও। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজপথ ভরিয়েছে মশাল জ্বেলে। সোমবার ছাত্রদের ধর্মঘট চলছে দিল্লিতে। আন্দোলনের কর্মসূচি রয়েছে কলকাতাতেও। এর মধ্যেই মোদি সরকারকে কার্যত তুলোধনা করলেন প্রিয়াঙ্কা। সোমবার সকালের টুইটে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, “এভাবে যৌবনের কণ্ঠস্বরকে চেপে রাখা যায় না। মানুষের কণ্ঠস্বরকে চেপে একনায়কতন্ত্রের পথে দেশ চালাতে চাইছে এই সরকার।”