Kanyashree Spelling Row: দিলীপ ঘোষের ‘কন্নাশ্রী’-র দোষ কাটাবে ‘বর্ণপরিচয়’, সমাধান পাঠালেন কংগ্রেস নেতা
‘কন্যাশ্রী চাই না নারী সম্মান চাই৷’ পোস্টারে এই সামান্য বাংলাটুকু লিখতে গিয়েও বড়সড় কটাক্ষের মুখে বঙ্গ বিজেপি৷ দিল্লিতে সংসদের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই পোস্টার হাতেই বুধবার বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা৷
কলকাতা, ১২ আগস্ট: ‘কন্যাশ্রী চাই না নারী সম্মান চাই৷’ পোস্টারে এই সামান্য বাংলাটুকু লিখতে গিয়েও বড়সড় কটাক্ষের মুখে বঙ্গ বিজেপি৷ দিল্লিতে সংসদের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই পোস্টার হাতেই বুধবার বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিজেপি কর্মীরা৷ সেই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)৷ দিলীপবাবু মানেই অসংলগ্ন মন্তব্য, দিলীপবাবু মানেই বাংলা বানানের সর্বনাশ৷ কথাটা যে আক্ষরিক অর্থেই সত্য, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল৷ সারা দেশের নজর যেখানে, সেই সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে ভুল বাংলা বানানে লেখা পোস্টার হাতে মমতা সরকারের বিরোধিতায় সরব বঙ্গ বিজেপি৷ এই লজ্জাজনক পরিস্থিতি থেকে বাঙালিকে উদ্ধার করতে সচেষ্ট হলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী৷ দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয়ের পিডিএফ কপি ইমেল করলেন তিনি৷ আরও পড়ুন-Taliban Captured Kandahar: কাবুল পাখির চোখ, তালিবানের দখলে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার
এরপর এনিয়ে মুখ খোলে কংগ্রেস নেতা জানান, দিল্লিতে একেবারে দেশবাসীর খাস দরবারে ভুল বাংলা বানানের পোস্টার হাতে প্রতিবাদে সরব বিজেপি কর্মীরা৷ এমন লজ্জার হাত থেকে বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে তিনি সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করেছেন৷ দিলীপ ঘোষের ঠিকানায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বর্ণপরিচয়ের প্রথম ভাগটি স্পিড পোস্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে পিডিএফ কপি ইমেলে পাঠিয়েছেন৷ দিলীপ ঘোষের হাতের পোস্টারে কন্যাশ্রী বানান “কন্নাশ্রী” আর চাই শব্দের “ই”-এর মাত্রা উল্টো৷ বিষয়টি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে কটাক্ষের রোল উঠেছে এমনকী, নেটিজেনরা বিদ্রূপ করতে ছাড়ছেন না, দিলীপ ঘোষও তখনও অবিচল৷
এসব কটাক্ষ গায়ে না মেখে তাঁর দাবি, “অনুবাদের সময় অনেক সময় বানান ভুল হয়ে যায়। এই ভুল নিয়ে অনেককে আলোচনার সুযোগ করে দিলাম৷” প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায় দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষের এহেন সুযোগ ছাড়তে রাজি নন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘এই জন্যেই বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন, “মূর্খের অশেষ দোষ”। পোস্টারটা যে ছেপেছে তার কথা বলছি। বাংলা বর্ণমালার হ্রস্ব-ই বর্ণটা পর্যন্ত চেনা যাচ্ছে না!’