দেবশ্রী পর্ব দুঃস্বপ্ন ছিল ভুলে যান, বৈশাখী-শোভনকে বললেন বিজেপির শিব প্রকাশ
ধবার দিন বিকেলে বিজেপির সদর দপ্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে মেটাতেও এল অভূতপূর্ব বাধা। বুধবার শোভনদের যোগদানের আগে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় (Debashre Roy) আচমকা বিজেপি সদর দপ্তরে হাজির হওয়ায় যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশের (Shiv Prakash)বাড়িতে বৈঠকে যান এই জুটি।
দিল্লি, ১৫ আগস্ট: বুধবার দিন বিকেলে বিজেপির সদর দপ্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর্ব শান্তিপূর্ণভাবে মেটাতেও এল অভূতপূর্ব বাধা। বুধবার শোভনদের যোগদানের আগে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায় (Debashre Roy) আচমকা বিজেপি সদর দপ্তরে হাজির হওয়ায় যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশের (Shiv Prakash)বাড়িতে বৈঠকে যান এই জুটি। সেখানেই শিব প্রকাশ দেবশ্রী পর্বকে ‘দুঃস্বপ্ন’ বললেন। সে প্রসঙ্গ স্বাভাবিক ভাবেই ওঠে এ দিনের বৈঠকে। নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, ওই ঘটনাকে এ দিন ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে আখ্যা দেন শিব প্রকাশ। কোনও দুরভিসন্ধি নিয়েই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল— শিব প্রকাশের মত এমনই বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন-শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির দপ্তরে তৃণমূলের অভিনেত্রী বিধায়ক, সরগরম রাজ্য রাজনীতি
তবে এদিন সেই অভূতপূর্ব ঘটনাকে ভুলিয়ে দিতে সাত সকালেই দিল্লিতে শিব প্রকাশের বাড়িতে হাজির হয়ে যান বৈশাখী ও শোভনবাবু। এরপর শিব প্রকাশের হাতে রাখি পরিয়ে সমস্ত মালিন্য মুছে দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। শিব প্রকাশও কগত কালের দেবশ্রী পর্ব ভুলে নতুন করে কাজে নেমে পড়তে বলেন। জানান, তাঁরা এখন বিজেপি পরিবারের সদস্য তাই তাঁদের উপরে কোনও আঁচ যাতে না লাগতে পারে তা দেখার দায়িত্ব দলের। এখনই শোভনবাবুকে কোনওরকম সাংগঠিক দায়িত্ব দেওয়া না হলেও খুব শিগগির যে তিনি কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন তা এদিনের আলোচনা. কতকটা স্পষ্ট হয়ে যায়। গত মঙ্গলবার দূতের হাত দিয়ে বিধানসভায় নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। আসলে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত যোগসূত্র ঘুঁচে যায়। এই কাজটাই করে ফেললেন তিনি। যদিও তার আগে শনিবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভায় যাওয়ার অুরোধ জানাতে ফোন করেছিলেলেন। সেই ফোনেই তিনি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান, সময় করে দেখা করবেন। সেই সময়টা আর হল না। তার আগেই নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে ফেললেন।
শোভনের ইস্থফার পরেই তৃণমূলের অন্দরে গুজব শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাতেই সেই গুজ সত্যি করে দিল্লি রওনা হয়ে যান শোভন বৈশাখী। তারপর বুধবার বিকেলে বিজেপির সদর দপ্তরে পদ্মশিবিরে যোগ দেন এই জুটি।