‘সাফল্য থেকে কেউ ভারতকে সরিয়ে রাখতে পারবে না’, চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটি ছুঁতে পারল কি না তা আর জানার উপায় নেই। হয়তো কোনওদিনই জানা যাবে না। ঠিক ছিল চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) চাঁদের মাটি ছুঁতেই ল্যান্ডার ও বিক্রম পৃথক হয়ে নিজেদের কাজ শুরু করবে। সেখানকার যাবতীয় তথ্য তারা ইসরোর মহাকাশ গবেষমা কেন্দ্রে পাঠাবে। যেখানে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিজ্ঞানীরা ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু হল না, শুক্রবার রাত ১টা ৪০ মিনিট থেকে শনিবার সকাল ৮টা, এখনও ল্যান্ডার বিক্রমের কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না।

ইসরোর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী(Photo Credit: ANI)

বেঙ্গালুরু,৭ সেপ্টেম্বর: চন্দ্রযান-২ চাঁদের মাটি ছুঁতে পারল কি না তা আর  জানার উপায় নেই। হয়তো কোনওদিনই জানা যাবে না। ঠিক ছিল চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) চাঁদের মাটি ছুঁতেই ল্যান্ডার ও বিক্রম পৃথক হয়ে নিজেদের কাজ শুরু করবে। সেখানকার যাবতীয় তথ্য তারা ইসরোর মহাকাশ গবেষমা কেন্দ্রে পাঠাবে। যেখানে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন বিজ্ঞানীরা ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু হল না, শুক্রবার রাত ১টা ৪০ মিনিট থেকে শনিবার সকাল ৮টা, এখনও ল্যান্ডার বিক্রমের কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না। তাদের সঙ্গে যে চাঁদের কক্ষপথে থাকা অরবিটারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তা এককথায় স্পষ্ট। গোটা দেশ যেন শুক্রবার রাত জেগেছে চন্দ্রযানের সাফল্য দেখতে। তবে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে।

ইসরোর (ISRO) তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার ১০০ মিটার দূরত্বে শেষ সংকেত পাওয়া গিয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে। সব ঠিক থাকলে রাত ১টা ৫৩ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখত ভারতের চন্দ্রযান। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কোনও সংকেত পৌঁছায়নি গ্রাউন্ড স্টেশনে। বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কন্ট্রোল রুমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বিজ্ঞানীদের সঙ্গে গোটা ঘটনাটি দেখতে উপস্থিত ছিলেন। এ দিন সকালে মিশন চন্দ্রযান ২ নিয়ে ইসরো থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও পড়ুন- Chandrayan 2: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ৭০ ছাত্রছাত্রী সাক্ষী থাকবে চন্দ্রযান ২ -র চাঁদে পা রাখার ঐতিহাসিক মুহূর্তে

বললেন, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সফল আমরা হবই। আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। কাল নতুন ভোর হবে আর আরও উজ্জ্বল হবে। বিজ্ঞানীরা পাথর ভেঙে পথ তৈরির মানুষ। হয়তো চন্দ্রযানের অভিযান সফল হয়নি, কিন্তু দারুণ হয়েছে। এই পুরো মিশন ঘিরে সারা দেশ ভীষণ উত্তেজিত ছিল। আমি নিজেও সব সময় এর খবর রাখছিলাম। যা হয়েছে সেটা তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের ফল। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি আমি তাঁদের পরিবারকেও স্যালুট জানাচ্ছি। আমাদের চাঁদ নিয়ে নানা কল্পনা রয়েছে, চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হল এতে। আমরা সবাই একসঙ্গে আমাদের বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বাধা নিশ্চয় এসেছে, কিন্তু আমরা পিছিয়ে পড়িনি। বাধা এসেছে হয়তো, কিন্তু আমরা আমাদের রাস্তা থেকে সরব না। আজ হয়তো চাঁদে আমাদের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আশা হারাব না।কাল রাত থেকে আপনারা কেউ ঘুমোননি। তাও আমার আপনাদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে হল।