Uttarakhand Shocker: ভাইকে ভাল লাগে না, টিভিতে ক্রাইম শো দেখে একরত্তিকে খুন করল নাবালিকা

টিভিতে ক্রাইম শো দেখে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল দুই বোন যে নিজের খুদে ভাইকে খুন করল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ নভেম্বর। খুদের দেহ গঙ্গায় ভেসে উঠতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বছর দুয়েকের ভাইকে খুন করার অপরাধে দুই নাবালিকাকে আটক করেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) পুলিশ। একরত্তির পরিবারের সদস্যদের জেরার মাধ্যমেই প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। এরপর মৃত শিশুপুত্রের ১৪ বছরের দিদি ও ১৩ বছরের খুড় তুতো দিদি তাকে খুন করেছে। এই দুজনকেই সোমবার হরিদ্বারের জোয়ালাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

হরিদ্বার, ৫ ডিসেম্বর: টিভিতে ক্রাইম শো দেখে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল দুই বোন যে নিজের খুদে ভাইকে খুন করল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ নভেম্বর। খুদের দেহ গঙ্গায় ভেসে উঠতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বছর দুয়েকের ভাইকে খুন করার অপরাধে দুই নাবালিকাকে আটক করেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) পুলিশ। একরত্তির পরিবারের সদস্যদের জেরার মাধ্যমেই প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। এরপর মৃত শিশুপুত্রের ১৪ বছরের দিদি ও ১৩ বছরের খুড় তুতো দিদি তাকে খুন করেছে। এই দুজনকেই সোমবার হরিদ্বারের জোয়ালাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মেয়ের দায়িত্বে ছেলেকে রেখে বাবা-মা নিত্যদিন কাজে বেরিয়ে যেতেন। এই কাজেই বিরক্ত বোধ করত অভিযুক্ত নাবালিকা।

বাবা-মার অবর্তমানে ছোট ভাইকে দেখতে হত। এই কাজ করতে নাবালিকার মোটেও ভাল লাগত না। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিল সে। কী করে নাবালক ভাইকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায়, তাই ছিল তার ভাবনা চিনা। গত গ্রীষ্মের ছুটিতে দিদিমার বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। সেখানেই ঠিভিতে ক্রাইম শো দেখে ভাইকে খুনের ছক কষে ফেলে। এরপর সঠিক সময়ের অপেক্ষা শুরু করে। অনেক কষ্টে ঘুমের ওষুধ জোগাড় করে ভাইয়ের জন্য রাখা দুধে মিশিয়ে দেয়।তারপর সেই দুধ ওই খুদেকে খাইয়ে দিলেই সে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর দুই নাবালিকা শিশুটিকে একটি ব্যাগে ভরে সাইকেল চড়ে গঙ্গার কাছে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলটি তাদের বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরে। গঙ্গায় ঘুমন্ত ভাইকে ফেলে ফের বাড়িতে ফিরে আসে দুজনে। এমনভাবে আচরণ করতে থাকে যে  মনে হয় কিছুই হয়নি। আরও পড়ুন-Unnao Rape Case: জেল থেকে বেরিয়েই উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা ধর্ষকদের, উত্তরপ্রদেশে শোরগোল

পরদিন সকালে ওই দম্পতি বাড়ি ফিরে দেখেন শিশুপুত্রের কোনও হদিশ নেই। আশপাশের বাড়িতে খোঁজখবর করেও কোনও সূত্রে না মেলায় পুলিশে নিখোঁজের ডায়েরি করেন। স্বাভাবিকভাবেই শিশুকে খুঁজে পেতে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের থেকেই জেরা পর্ব শুরু হয়। নাবালিকা দিদি ভাইকে দেখতো, তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এমনকী, ভাইয়ের নিখোঁজের নেপথ্যে রয়েছে কাকিমা যেনতেন প্রকারেণ তা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে নাবালিকা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শেষপর্যন্ত পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অপরাধ স্বীকার করে নেয়।