বরপণ মেটেনি, শিশুকন্যা-সহ গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

সময় মতো বর পণের (dowry) টাকা মেটেনি, এই অপরাধে বছর পঁচিষের হবধূ ও তাঁর তিনমাসের শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় (Rampur)। মৃত গৃহবধূর নাম শবনম ২০১৫ সালে তাঁর বিয়ে হয় ফল ব্যবসায়ী মহম্মদ কাশিমের (Mohammed Qasim) সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে বার বার শবনমকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবারই কিছু টাকা হাতে দিয়ে শবনমকে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠাতেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit :PTI)

রামপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর: সময় মতো বর পণের (dowry) টাকা মেটেনি, এই অপরাধে বছর পঁচিষের হবধূ ও তাঁর তিনমাসের শিশুকন্যাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় (Rampur)। মৃত গৃহবধূর নাম শবনম ২০১৫ সালে তাঁর বিয়ে হয় ফল ব্যবসায়ী মহম্মদ কাশিমের (Mohammed Qasim) সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে বার বার শবনমকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রতিবারই কিছু টাকা হাতে দিয়ে শবনমকে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠাতেন তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা। এই দুই টানা পোড়েনের মাঝে পড়ে অত্যাচার বন্ধ হওয়ার থেকে বেড়ে গিয়েছিল বেশি। আর সেই টানাপোড়েনের মাশুল দিতে হল প্রাণ দিয়ে।

উল্লেখ্য, ফল ব্যবসায়ী কাশিমের পরিবার বিয়ের সময় এক লাখ টাকা বরপণ চেয়েছিল। সেই সময় ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে বাকিটা মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শবনমের (Shabnam) পরিবারের সেই আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। পরে কন্যাসন্তান জন্মালে বোনের হাতে এক লক্ষ টাকা দিয়ে আসেন শবনমের দাদা জাহিদ আলি (Zahid Ali)। তারপরেও অত্যাচার বন্ধ হয়নি। বরং দিনে দিনে বেড়েছে। বেশিরভাগ সময় বাপের বাড়িতে গিয়ে শবনম এসব নিয়ে মুখও খুলতেন না। শেষপর্যন্ত শবনম ও তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে বাড়ি ছেরে পালিয়ে গেল গোটা পরিবার। আরও পড়ুন-Tabrez Ansari Lynching:তাবরেজ আনসারি খুনের তদন্তে নয়া মোড়, ফের ১১জনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু পুলিশের

উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সুপার অজয় শর্মা বলেছেন, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাজিপুরা মহল্লাতে (Hajipura mohalla)। এই ঘটনায় মৃত গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির তরফে সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক। তাদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। দেহদুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষোভে ফুটছে। কাশিম-সহ বাড়ির অন্যরা প্রকাশ্যে এলেই যে উত্তেজিত জনতার রোষের শিকার হবে তা আর আলাদাভাবে বলার দরকার নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। নারী নির্যাতনের মামলাও তাতে যোগ করা হয়েছে। অপরাধীরা ধরা পড়লে যাতে কোনওভাবে শাস্তি খাঁড়া থেকে বাঁচতে না পারে তা দেখা হবে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now