দেশ থেকে প্লাস্টিক তাড়াতে এবার মহিলাদের সঙ্গে মাঠে নেমে বর্জ্য ঘাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি ভাইরাল
সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, ভারত সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অন্যান্য দেশকেও সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তিনি যে মুখে শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি। বুধবার রীতিমতো মহিলাদের সঙ্গে এক মাঠে প্লাস্টিক কুড়োতে দেখা গেল তাঁকে। হ্যাঁ নরেন্দ্র মোদি প্লাস্টিক কুড়োলেন।
মথুরা, ১১ সেপ্টেম্বর: সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়েছিলেন, ভারত সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অন্যান্য দেশকেও সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তিনি যে মুখে শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি। বুধবার রীতিমতো মহিলাদের সঙ্গে এক মাঠে প্লাস্টিক কুড়োতে দেখা গেল তাঁকে। হ্যাঁ নরেন্দ্র মোদি প্লাস্টিক কুড়োলেন। এদিন উত্তরপ্রদেশের মথুরায় (Mathura) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক বর্জনের জন্য নিজেই প্লাস্টিক কুড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন। সেখানে দেখেন, একটি মাঠ থেকে মহিলারা প্লাস্টিক কুড়োচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁদের পাশে বসে প্লাস্টিক কুড়োতে থাকেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময়ই প্লাস্টিক বর্জনের জন্যে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, একমাত্র পরিবেশ ও মানুষকে বাঁচাতে হলে প্লাস্টিককে বর্জন করতে হবে। এদিন সেই কাজ নিজেই শুরু করে দিলেন। মথুরায় প্রধানমন্ত্রী কর্মকাণ্ড দেখে অভিভূত ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ প্রকল্পের সাফাই কর্মীরা। তারপর প্রকল্পের তরফে প্রায় ২৫ জন সাফাইকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেন। দুদিন আগেই নয়ডায় রাষ্ট্রপুঞ্জের কনফারেন্সে গিয়ে প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে লম্বা চওড়া বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক তারপরে মথুরায় এসে নিজে হাতে মাঠ সাফ করতে শুরু করলেন। আবার আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মদিনটিকেই প্লাসিক বর্জন সংক্রান্ত আন্দোলনের সূচনা হিসেবে বেছেছেন। আরও পড়ুন-‘কিছু লোকের দেখছি গরুর নাম শুনলেই চুল খাড়া হয়ে যায়’, পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনে বিরোধীদের কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই রেলওয়ে স্টেশনে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে। বড় বড় শপিংমলে আর ক্রেতাদের থেকে টাকা নিয়ে প্লাস্টিক বিক্রি করা যাবে না। এজন্য ইতিমধ্যেই জরিমানার কবলে পড়েছে বেশ কয়েকটি শপিংমল। হরিয়ানায় মাটির পাত্রে পানীয় জল ভরে রাখার কাজে রাজ্যবাসীকে উৎসাহ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানকেই যে মনোহরলাল খট্টরের সরকার সাদরে গ্রহণ করেছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। এদিন মথুরায় যে মহিলারা মাঠ থেকে প্লাস্টিক কুড়োচ্ছিলেন, তাঁদের হাতে ছিল গ্লাভস। নাক-মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রশ্ন করেন, রোজ প্রতিটি বসতবাড়ি থেকে কী পরিমাণে বর্জ্য পাওয়া যায়। তার মধ্যে কী পরিমাণ প্লাস্টিক থাকে। তারপরই অন্যান্য বর্জ্যের (garbage) থেকে প্লাস্টিককে আলাদা করার প্রক্রিয়াতেও অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।