Kasganj Custodial Death Case: পুলিশের ইচ্ছে ও পছন্দমতো বয়ান দিয়েছেন, কাসগঞ্জ কাণ্ডে কী বললেন মৃতের বাবা?
কাসগঞ্জ পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। মৃত যুবক আলতাফের (২২) বাবা চাঁদ মিঞা এবার পুলিশের বিরুদ্ধে বেঁকে বসলেন। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তাঁকে দিয়ে যা বলিয়ে নিয়েছে, তিনি তাই বলেছেন।
উত্তরপ্রদেশ, ১২ নভেম্বর: কাসগঞ্জ পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। মৃত যুবক আলতাফের (২২) বাবা চাঁদ মিঞা এবার পুলিশের বিরুদ্ধে বেঁকে বসলেন। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তাঁকে দিয়ে যা বলিয়ে নিয়েছে, তিনি তাই বলেছেন। তিনি একটি লিখিত নোটে আঙুলের ছাপ দিয়েছেন। তাতে হিন্দিতে লেখা ছিল, আলতাফ শৌচাগারে আত্মহত্যা করেছেন। অবসাদে আত্মঘাতী তিনি। এই ঘটনায় পুলিশের কোনও দোষ নেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদ মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, ছেলের মৃতদেহ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল পুলিশ। তাই তিনি এমন বিবৃতি দিতে রাজি হয়েছেন। পড়াশোনা জানেন না, তাই চিঠিটির বয়ানে কি লেখাছিল বলতে পারবেন না। শুধু স্বাক্ষরের জায়গায় তাঁর বুড়ো আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: ২৬৭ দিনে সর্বনিম্ন সংক্রামিত, নতুন করোনা রোগী ১২ হাজার ৫১৬ জন
তিনি বলেন, "যখন আমি বিবৃতি দিয়েছিলাম এবং কাগজে বিষয়বস্তু না জেনেই আমার বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়েছিলাম। তখন আমি সুস্থ ছিলাম না বা আমার মনের অবস্থাও ঠিক ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে, পুলিশ আমাকে যা করতে বলেছিল আমি তাই করেছি।" তবে চাঁদ মিঞার বয়ান বদলের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কাসগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একে সিং বলেন, "দয়া করে মৃতের বাবাকে জিজ্ঞাসা করুন কেন তিনি এক বক্তব্য থেকে অন্য বক্তব্যে তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। এ বিষয়ে পুলিশ কী বলতে পারে?" হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের মামলায় আলতাফকে আটক করে কাসগঞ্জ থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুলিশ লকআপের শৌচাগের যায় সে। কিছুক্ষণ পরে না বেরলে দরজা ভেঙে দেখা যায় আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গলায় দড়ি দেওয়ার বিষয়টি লেখা থাকলেও তা মানতে নারাজ আলতাফের মা ফতিমা। ৩ ফুটের ট্যাপের কী করে এক যুবক গলায় দড়ি দেয়। আমরা ওই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিশ্বাস করি না। সারা শরীরে কোনও আগাতের দাগ মেলেনি।