মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক, আইএসআই-এর চরবৃত্তি, মারাত্মক অভিযোগে দিশেহারা শহরের এই স্কুল

স্কুল শিক্ষকদের মধ্যেই রয়েছেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর চর। কেউ আবার ফোর্টউইলিয়াম থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে পাচার করছেন। কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই শিক্ষক নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ছক কষছেন।

প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

কলকাতা, ২৩ জুলাই: স্কুল শিক্ষকদের মধ্যেই রয়েছেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর চর। কেউ আবার ফোর্টউইলিয়াম থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে পাচার করছেন। কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই শিক্ষক নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ছক কষছেন। এরকম ভুয়ো অভিযোগে তোলপাড় খিদিরপুরের এক শতাব্দী প্রাচীন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল। সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে থানায়, সেই অভিযোগের অযথা বার বার পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। উপায় না দেখে এদিন শিক্ষকের দল ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও পড়ুন-আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি, ফেসবুকে এমন লাইভ করে বেঁচেই গেল যুবক__ কীভাবে?

এসমস্ত ভুয়ো অভিযোগ করতে কেউ সশরীরে থানায় আসেনি। চিঠি মারফত পুলিশের কাছে এসব খবর পৌঁছেছে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাপোষা শিক্ষক কিনা আইএসআই-এর চর এমন শুনেই পুলিসের চোখ কপালে উঠেছে। আরএক থানার পুলিশ কর্তা খবর পেলেন স্কুল শিক্ষক মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক কষছেন। ভয় তো লাগবেই, তবে শুধু স্কুলেই নয়। এহেন মারকাটারি অভিযোগে ভরা চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে ওই স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও। আর তা দেখেই মাস্টারমশাইদের চোখ ছানাবড়া। রাজ্য সরকারি চাকুরে মাস মাইনে দিয়ে সংসার চালান, বেমক্কা কার ষড়য্ন্ত্রে যে ফাঁসতে চলেছেন বুঝতেই পারেননি। তাই তড়িঘড়ি থানায় এসে ওই উড়ো চিঠির বিষয়ে আগাম এফআইআর দায়ের করলেন শিক্ষকদের একটি দল।

এই প্রসঙ্গে স্কুলের ইংরাজি বিভাগের শিক্ষক তথা অভিযোগারী ঋতুপর্ণ বসু মঙ্গলবার বলেন, “স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, সিআইডি, কলকাতা পুলিশ, এমনকি  রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে তদন্তকারী সংস্থাগুলি স্কুলে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কিত। কে বা কারা এই চিঠি দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হচ্ছে না।” তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই কে বা কারা এটা করছেন তা নিশ্চিত, কিন্তু কেন করছেন সেটাই ধরা যাচ্ছে না। এদিকে উড়ো চিঠির চক্করে স্কুলে লাগাতার গোয়েন্দা পুলিশ আসছে। শিক্ষকদের ডেকে চলেছে টানা জেরার পালা। সবমিলিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে স্কুলের শিক্ষকরা।