Fake Antibiotic: রমরমিয়ে চলছিল নকল অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবসা, গুজরাটে ফাঁস চক্র, উদ্ধার ১৭ লক্ষের জাল ওষুধ
অভিযুক্তরা বিভিন্ন বেনামি সংস্থার মেডিক্যাল প্রতিনিধি সেজে চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁদের তৈরি জাল ওষুধ চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দিতেন।
রমরমিয়ে চলছিল জাল অ্যান্টিবায়োটিকের (Fake Antibiotic) ব্যবসা। গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগর থেকে জাল ওষুধ তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করার জেরে গ্রেফতার হয়েছে চারজন। অ্যান্টিবায়োটিকের নামে ওষুধের প্যাকেটে ক্যালসিয়াম কার্বনেট অর্থাৎ চুন থেকে তৈরি ট্যাবলেট ভোরে তা লেনদেন করতেন ওই চার অভিযুক্ত। রবিবার রাজ্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন (FDCA) জাল অ্যান্টিবায়োটিক লেনদেনের এই চক্র ফাঁস করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নকল অ্যান্টিবায়োটিক। যার বাজার মূল্য ১৭ লক্ষ টাকা।
রাজ্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই জাল অ্যান্টিবায়োটিক চক্র (Fake Antibiotic) ফাঁসের কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিবৃতির মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান এবং সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জাল ওষুধের প্যাকেটে হিমাচল প্রদেশের এক কোম্পানি দ্বারা তা নির্মিত হয়েছে বলে উল্লেখ করে রাখত অভিযুক্তরা। এ প্রসঙ্গে গুজরাট খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের কমিশনার জানিয়েছেন, 'আমরা উদ্ধার হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক গুলো পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছিলাম। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ক্যালসিয়াম কার্বনেট বা চুন প্যাকেটজাত করে অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল'। তবে হিমাচল প্রদেশের ওই জাল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধানে হিমাচল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, এমন কোন ওষুধ তৈরির সংস্থা সেখানে নেই।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন বেনামি সংস্থার মেডিক্যাল প্রতিনিধি (Medical Representative) সেজে চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁদের তৈরি জাল ওষুধ চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছে দিতেন। গুজরাটের নাদিয়াদ, সুরাট, আহমেদাবাদ, রাজকোট এই চার জায়গায় খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন কর্মকর্তারা। আর তার পরেই ফাঁস হয় এই ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক লেনদেনদের চক্র।