FedEx Scam: 'মাদক সহ আটক আপনার পার্সেল', ফের মাথাচাড়া ফেডেক্স কেলেঙ্কারি, সাবধান না হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে ফাঁকা
প্রতারকেরা নিজেদের ক্যুরিয়ার সংস্থা ফেডএক্সের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে ফোন করে জানায়, ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে একটি প্যাকেজ রয়েছে। যা মাদক এবং বেশ কিছু অবৈধ দ্রব্যের সঙ্গে ধরা পড়েছে।
FedEx কেলেঙ্কারি কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। প্রতারকদের শিকার বেঙ্গালুরু নিবাসী এক মহিলা। পেশায় আইনজীবী বছর ২৯ এর ওই মহিলা খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা। গত কয়েক বছরে ফেডেক্স কেলেঙ্কারির (FedEx Scam) শিকার হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রতারকেরা নিজেদের ক্যুরিয়ার সংস্থা ফেডএক্সের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে ফোন করে জানায়, ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে একটি প্যাকেজ রয়েছে। যা মাদক এবং বেশ কিছু অবৈধ দ্রব্যের সঙ্গে ধরা পড়েছে।
অর্থিক কেলেঙ্কারি, সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ভয় দেখানো হয় উলটো দিকের ব্যক্তিকে। স্বাভাবিক ভাবেই ঘাবড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইবেন। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন প্রতারক নিজেই। প্রতারকদেরই একজন 'পুলিশ অফিসার'এর পরিচয় দিয়ে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। এইভাবেই ব্যাঙ্কের নথি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ব্যক্তির থেকে হাসিল করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেয় প্রতারকের দল।
সদ্য ফেডএক্স কাণ্ডের শিকার হলেন বেঙ্গালুরুর এক আইনজীবী মহিলা। প্রতারকেরা তাঁর সঙ্গে টানা ৩৬ ঘণ্টা ফোনে কথা বলে। পুলিশকে প্রতারিত মহিলা জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল দুপুর ২ঃ১৫-এ ফোনটি আসে। যা চলেছিল ৫ এপ্রিল রাত ১ঃ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দীর্ঘ কথোপকথনে মহিলাকে জানানো হয়, এমডিএমএ (মাদক) সহ তাঁর নামে একটি পার্সেল ধরা পড়েছে।
প্রতারকেরা তাঁকে স্কাইপ ডাউনলোড করতে বলে এবং একজন সিবিআই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা জানায়। সিবিআই অফিসার, অভিষেক চৌহানের পরিচয় দিয়ে স্কাইপে এক ব্যক্তি ৩৬ ঘণ্টা কথা বলেন মহিলার সঙ্গে। চৌহান ওই আইনজীবীকে জানান, তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, মানি লন্ডারিং এবং পরিচয় চুরির মামলা রয়েছে। এবং তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ফোন (স্কাইপ কল) রাখতে পারবেন না এবং কারুর কাছে এই তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না।
ফোন কল চলাকালীন ৩ এপ্রিল রাতে মহিলাকে ১৫ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করে সিবিআই পরিচয় দেওয়া প্রতারক। টাকা না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর আরও ১০ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয় আইনজীবীকে। টাকা না পাঠালে তাঁর ভিডিয়ো ডার্ক ওয়েবে প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়। ভয় পেয়ে ৫ এপ্রিল রাতে স্কাইপ কল রেখে দেন মহিলা। এরপরেই তিনি থানার দারস্ত হন।