Loudspeakers Ban in UP Weddings: সুপ্রিম নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের বিয়েতে তারস্বরে বক্স বাজানো বন্ধ করল যোগী প্রশাসন
তারস্বরে মিউজিক বাজানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেই রাজ্যে লাউডস্পিকার ও জোরে মাইক বাজানো বন্ধ করতে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
লখনউ: গান (Song) বা বাজনা (Music) ছাড়া কি আর বরযাত্রীদের শোভাযাত্রা মানায়? মন মানতে রাজি না হলেও তেমনটাই ঘটল। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশের পর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিয়েবাড়িতে লাউডস্পিকারে গান-বাজনা বন্ধ করল (Loudspeakers Ban in UP Weddings) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) প্রশাসন।
এর ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিয়ের এই মরসুমে বরযাত্রীর নিমন্ত্রণ পাওয়া বরের (Bridegroom) বন্ধুবান্ধব (friend) ও আত্মীয়-পরিজনেরা (Relatives)। অন্যদিকে জ্বালাতনে পড়েছেন বিয়ে করতে যাওয়া যুবকরাও। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের চাপে পড়ে এক সরকারি অফিস (government office) থেকে আরেক সরকারি অফিসে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন নিজের বিয়েতে গান বাজানোর অনুমতি (permission) জোগাড় করার জন্য। সমস্যায় পড়েছেন ব্যান্ডপার্টি ও বক্স-মাইকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষরাও। আগে থেকে বুক করা বিয়েবাড়িগুলিতে কীভাবে কী করবেন তার চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে তাঁদের। আরও পড়ুন: Palghar Shocker: পাশবিক! চলন্ত গাড়িতে মহিলাকে শ্লীলতাহানির সময় ধাক্কাধাক্কিতে মৃত ১০ মাসের শিশু
তারস্বরে মিউজিক বাজানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরেই রাজ্যে লাউডস্পিকার ও জোরে মাইক বাজানো বন্ধ করতে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কেউ জোরে বাজনা বাজাতে বা ডিজে-তে গান চালাতে চায় তাহলে তাঁকে প্রথমে স্থানীয় থানার কাছ থেকে একটি ফর্ম জোগাড় করতে হবে। তারপর সেটিতে অনুমোদন নিতে হবে ট্র্যাফিক পুলিশের কাছ থেকে। পরে সেটি নিয়ে যেতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। সেখান থেকেই পাওয়া যাবে চূড়ান্ত অনুমোদন। বাস্তবে যা জোগাড় করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বর ও তাঁর বাড়ির লোকজনদের।
এপ্রসঙ্গে গত ২ ডিসেম্বর বিয়ে করা এক যুবক সিদ্ধার্থ শ্রীবাস্তব জানান, তিনি বিয়ের আগে থেকে এক সপ্তাহ এদিক-ওদিক ঘুরে বহুকষ্টে ঠিক বিয়ের আগের দিন অনুমতি জোগাড় করতে সমর্থ হন। তাঁর কথায়, প্রথমত ম্যাজিস্ট্রেটের দেখা মেলে না। তাঁকে পাওয়া গেলে আবার ব্যস্ত থাকেন পুলিশ আধিকারিকরা। কাউকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, বিয়ের বাজনার অনুমতি দেওয়া ছাড়াও তাঁদের হাতে অনেক বড় কাজ আছে। আগে সেগুলি মেটানো হবে পরে এইসব অনুমোদনের বিষয়।