পরস্ত্রীকে নিয়ে বেপাত্তা দাদা, এই অপরাধে তিনবোনকে নগ্ন করে বেধড়ক মারল পুলিশ

এক মুসলমান যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী গৃহবধূ। সম্প্রতি তাঁদের প্রেমকে পরিণতি দিতে যুগলে শিলং পালিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে নিদারুণ প্রতিশোধ স্পৃহায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে দাদার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শাস্তি দিতে তিন বোনকেই থানায় নিয়ে এসে নগ্ন করে বেধড়ক মারল পুলিশ।

প্রতীকী ছবি(File Photo)

গুয়াহাটি, ১৮ সেপ্টেম্বর: এক মুসলমান যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী গৃহবধূ। সম্প্রতি তাঁদের প্রেমকে পরিণতি দিতে যুগলে শিলং পালিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে নিদারুণ প্রতিশোধ স্পৃহায় গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে দাদার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শাস্তি দিতে তিন বোনকেই থানায় নিয়ে এসে নগ্ন করে বেধড়ক মারল পুলিশ। অভিযোগ, বুটের লাথি থেকে লাঠির ঘা, সঙ্গে যৌন হেনস্তা কিছুই বাদ গেল না। আক্রান্তরা বার বার তাঁদের অপরাধ জানতে চাইলে রীতিমতো কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিলেন থানার সাব ইন্সপেক্টর মহেন্দ্র শর্মা (Sub-inspector Mahendra Sarma)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অসমের (Assam) দারাং জেলায়।

আক্রান্ত তিন বোনের একজন ইতিমধ্যেই মহেন্দ্র শর্মা ও সহযোগী বিনীতা বোরোর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, গত ৯ তারিখে তাঁদের তিন বোনকেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন সাব ইন্সপেক্টর মহেন্দ্র শর্মা। তারপর নগ্ন করে শুরু হয় অত্যাচার। আক্রান্তদের মধ্যে একজন আবার অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন তাঁকে যাতে মারধর করা না হয় তারজন্য বাকি দুই বোন বার বার অনুরোধ করলেও তা মানেননি ওই দুই পুলিশকর্মী উল্টে বলা হয় নাটক বন্ধ করুন। বলে দ্বিগুণ উৎসাহে মারতে থাকেন। সঙ্গে তিনজনকেই যৌন হেনস্তাও করা হয় বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন-হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, এবার অমিত শাহর প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব রজনীকান্ত

আক্রান্তদের দাবি, ওই গৃহবধূর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করছে তাঁদের দাদা, এটা এলাকার সকলেই জানে। দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক। কোনও অপহরণের ঘটনা এখানে ঘটেনি, ওই গৃহবধূ নিজের ইচ্ছেতেই দাদার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে শিলংয়ে অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন আক্রান্তদের দাদা। আর অসমে বিনীত বোরা ও মহেন্দ্র শর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।