Bengaluru Shocker: প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ খণ্ড করে ফ্রিজে ভরে মুক্তিরঞ্জন, শেষে পালিয়ে গিয়ে আত্মহত্যা মহালক্ষ্মীর প্রেমিকের
খুনের পর মহালক্ষ্মীর দেহ ৫৯ খণ্ডে টুকরো করে ওড়িশার ওই যুবক। এরপর মুক্তিরঞ্জন প্রেমিকার শরীরের বিভিন্ন ভাগ ফ্রিজে ঢুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বেঙ্গালুরুতে তরুণী খুনে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করলে, পালানোর পথ খুঁজে পায়নি ওই যুবক। ফলে বুধবার গাছে দড়ি বেধে মুক্তিরঞ্জন আত্মহত্যা করে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে।
বেঙ্গালুরু, ২৬ সেপ্টেম্বর: বেঙ্গালুরুর (Bengaluru Murder) ভয়াবহ খুনের অভিযুক্তও শেষ পর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দিল। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে বেঙ্গালুরুতে খুন হওয়া তরুণী মহালক্ষ্মী দাসের প্রেমিক। অভিযুক্তর নাম মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায়। ওড়িশার ভদ্রকে আত্মহত্যা করে মুক্তিরঞ্জন প্রতাপ রায় নামে বছর ৩১-এর যুবক। এমনই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে। মুক্তিরঞ্জন মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটি লিখে রেখে যায়। যা পুলিশের হাতে এলে, সেখান থেকে খুনের ভয়াবহ ছবি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে একটি জামাকাপড়ের দোকানে কাজ করতেন মহালক্ষ্মী দাস নামে ওই বিবাহিত তরুণী। সেখান থেকে ওড়িশার বাসিন্দা মুক্তিরঞ্জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। মহালক্ষ্মী বিয়ের জন্য মুক্তিরঞ্জনকে চাপ দিচ্ছিলেন। যা নিয়ে মুক্তিরঞ্জন এবং মহালক্ষ্মীর (Mahalakshmi Das) মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। ওই বিবাদ চরমে উঠলে মহালক্ষ্মীকে খুন করে মুক্তিরঞ্জন।
খুনের পর মহালক্ষ্মীর দেহ ৫৯ খণ্ডে টুকরো করে ওড়িশার ওই যুবক। এরপর মুক্তিরঞ্জন প্রেমিকার শরীরের বিভিন্ন ভাগ ফ্রিজে ঢুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বেঙ্গালুরুতে তরুণী খুনে পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করলে, পালানোর পথ খুঁজে পায়নি ওই যুবক। ফলে বুধবার গাছে দড়ি বেধে মুক্তিরঞ্জন আত্মহত্যা করে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে।
বেঙ্গালুরুতে খুন এবং প্রেমিকার দেহ খণ্ড করার পর মুক্তিরঞ্জন ভাইকে ফোন করে। ভাই-ই তাকে নির্দেশ দেয়, বেঙ্গালুরু ছেড়ে ওড়িশায় (Odisha) যেতে। এরপর ভাইয়ের কথা মত মুক্তিরঞ্জন বাড়িতে ফিরে অনুজকে সব কথা জানায়। খুন থেকে পরবর্তী সব ঘটনা মুক্তিরঞ্জ নিজের ডায়রিতে লিখে রাখে। যা পুলিশের হাতে এলে, মুক্তিরঞ্জনের ভাইকে জেরা শুরু করা হয় পুলিশের তরফে।