Lockdown Blues: মদ না দিলে আত্মহত্যা করব, বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়ের টঙে চড়ে হুমকি যুবকের
মহামারী করোনাকে রুখতে দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন। এই লকডাউনের কবলে সমস্ত দোকানপাটেই পড়েছে তালা। সংক্রমণ এড়াতে মানুষজন প্রয়োজন চাড়া বিশেষ বাড়ির বাইরে পা রাখছে না। এমনকী অত্যুৎসাহীদের আটকাতে সক্রিয় পুলিশও। এই পরিস্থিতিতে মদ্যাপায়ীদের অবস্থা দারুণ সঙ্গীন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। সেখানে রাস্তার ধারের এক বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের মাথায় চড়ে বসেছেন এক ব্যক্তি (Bareilly man)। সেখান থেকেই আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। যতই তাঁকে নেমে আসতে বলা হয়, ততই তিনি বেঁকে বসেন। শেষে পুলিশের থেকে এক বোতল মদের প্রতিশ্রুতি আদায় করেই হোর্ডিংয়ের টং থেকে নামেন ওই ব্যক্তি।
বরেলি, ১ মে: মহামারী করোনাকে রুখতে দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন। এই লকডাউনের কবলে সমস্ত দোকানপাটেই পড়েছে তালা। সংক্রমণ এড়াতে মানুষজন প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ বাড়ির বাইরে পা রাখছে না। এমনকী অত্যুৎসাহীদের আটকাতে সক্রিয় পুলিশও। এই পরিস্থিতিতে মদ্যাপায়ীদের অবস্থা দারুণ সঙ্গীন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। সেখানে রাস্তার ধারের এক বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের মাথায় চড়ে বসেছেন এক ব্যক্তি (Bareilly man)। সেখান থেকেই আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছেন। খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। যতই তাঁকে নেমে আসতে বলা হয়, ততই তিনি বেঁকে বসেন। শেষে পুলিশের থেকে এক বোতল মদের প্রতিশ্রুতি আদায় করেই হোর্ডিংয়ের টং থেকে নামেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় থানার পুলিশকর্তা গীতেশ কপিল জানিয়েছেন, “কোনওরকম আঘাত ছাড়াই ব্যক্তিকে নিচে নামানো সম্ভব হয়েছে। তাঁকে শুধু আমরা প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিলাম। তবে মদ দেওয়া হয়নি। রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে আমরা লকডাউনের গাইড লাইন মেনে চলছি। ওই ব্যক্তি আপাতত থানাতেই রয়েছেন। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। যাতে বাড়িতে ফেরানো যায়।” আরও পড়ুন- Congress MLA On Liquor Shop: 'মদ্যপানেই গলা থেকে বিদায় হবে করোনা', কী বললেন কংগ্রেস বিধায়ক?
থানা থেকে ছাড়া আগে ওই ব্যক্তিকে খাবারও পানীয় দেওয়া হয়। সঙ্গে চলে টানা কাউন্সেলিং। পুলিশের তরফে খবর, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ নন। এদিকে রাজ্যে মদের দোকান খোলার দাবি জানিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে চিঠি দিয়েছেন সেখানকার এক কংগ্রেস বিধায়ক। করোনার সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের জেরে সমস্ত মদের দোকানেও তালা পড়েছে। ওই বিধায়করে দাবি, লকডাউনের আওতা থেকে দোকানগুলি বাদ দেওয়া উচিত ছিল। কেননা মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ কে মারার ক্ষমতা রাখে মদ। ওই বিধায়কের নাম ভারত সিং কুন্দনপুর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মদের দোকানগুলি খোলার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে চিঠিও লিখেছেন ওই সাংসদ। চিঠিতে কুন্দনপুর জানিয়েছেন, “যখন মদ দিয়ে হাত ধুলে করোনাভাইরাস দূর হবে। তখন মদ্যপান করলে গলা থেকে এই মারণ ভাইরাস অবশ্যই বিদায় হবে।”