সাদা চুলের বুড়ো সেজে নিউইয়র্কে পালানোর ছক, দিল্লি বিমানবন্দরে হাতেনাতে ধরা পড়ল যুবক
গায়ের চামড়া টানটান, মুখেও কোনও বার্ধক্যের ছাপ নেই। সাদা ধবধবে দাড়ির ফাঁক দিয়ে যৌবন উঁকি মারছে। মাথা ভর্তি পাকা চুল, মোটা কাচের চশমা, পাগড়ি কোনওটাই বাদ ভাঙা যৌবনকে রুখতে পারল না। তাইতো কাঁপা কাঁপা হাতে পাসপোর্ট এগিয়ে দিয়েও বিমানবন্দরের (Delhi IGI airport) সিআইএসএফ জওয়ানের (CISF personnel) হাতে ধরা পড়ে গেলেন যুবক।
দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: গায়ের চামড়া টানটান, মুখেও কোনও বার্ধক্যের ছাপ নেই। সাদা ধবধবে দাড়ির ফাঁক দিয়ে যৌবন উঁকি মারছে। মাথা ভর্তি পাকা চুল, মোটা কাচের চশমা, পাগড়ি কোনওটাই বাদ ভাঙা যৌবনকে রুখতে পারল না। তাইতো কাঁপা কাঁপা হাতে পাসপোর্ট এগিয়ে দিয়েও বিমানবন্দরের (Delhi IGI airport) সিআইএসএফ জওয়ানের (CISF personnel) হাতে ধরা পড়ে গেলেন যুবক। বছর বত্রিশের জয়েশ পটেল (Jayesh Patel)। আমেদাবাদের বাসিন্দা তিনি। ছদ্মবেশে নিউইয়র্ক উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে সব আশা তো আর পূরণ হয় না, তাই অশীতিপরের ধরচূড়াও জয়েশকে বাঁচাতে পারল না। আকাশে উড়াল দেওয়ার বদলে ঠাঁই হল পুলিশ লকআপে। এখন সিআইএসএফ জওয়নরা তাঁকে লাগাতার জেরা করছেন।
ধৃত জয়েশ কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। হাঠাৎ করে ৮১ বছরের বৃদ্ধের ছদ্মবেশেই কেন দেশ ছাড়তে চাইছিলেন জয়েশ তা-ও জানতে চান গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, অমরিক সিং নামের জাল পাসপোর্টটিকেই নিজের বলে চালিয়ে পালাতে চেয়েছিলেন জয়েশ কিন্তু কেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদি চুল দাড়ির পাশাপাশি ত্বকের মেকআপটা ঠিকঠাক হত, তাহলে হয়তো জয়েশকে বাগে আনতে পারত না সিআইএসএফ। মুখ দেখে তো বোঝার উপায় ছিল না। এক মুখ সাদা ধবধবে দাড়ি, মাথা ভর্তি পাকা চুল, পাগড়ি। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় কাঁপা কাঁপা হাতে পাসপোর্ট এগিয়ে দিতেই বৃদ্ধের হাতের দিকে লক্ষ্য করেন ওই সিআইএসএফ জওয়ান। আর তখনই সন্দেহ হয়। চেহারায় পুরোদস্তুর বয়েসের ছাপ, অথচ হাতের চামড়া একেবারে তরতাজা, একটুও ভাঁজ পড়েনি। আরও পড়ুন-ট্রেনে মদ্যপ ব্যক্তিদের হাঙ্গামা, সেই কামরাতেই সফর করা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা-র অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার ৫
সিআইএসএফ-এর এক শীর্ষকর্তা জানান, জয়েশের হাবভাব বুড়োদের মতো হলেও হাতের চামড়ায় বয়সের ছাপ ছিল না। তার উপর যে চশমাটি সে পড়েছিল, সেটি ‘জিরো পাওয়ার’-এর। সন্দেহ পাকা হতেই দাড়িতে টান দিতেই সেটিও আলগা হয়ে খুলে আসে। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।