একরত্তিকে মায়ের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, নির্যাতিতার মুণ্ডু কাটল পাষণ্ডরা
তিন বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করল ধর্ষকের দল। নির্যাতিতা শিশুর মাথাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। খুনের পর শিশুটির দেহাংশ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রেলবস্তি লাগোয়া ঝোঁপে ফেলে যায় আততায়ীরা।
জামশেদপুর, ১ আগস্ট: আসিফা গণধর্ষণ মামলার রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি। একই সঙ্গে লোকসভা রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাবালিকা ধর্ষণের সাজার বৃত্ত্যান্ত। তারপরেও নারকীয় ঘটনার অন্ত নেই। তিন বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করল ধর্ষকের দল। নির্যাতিতা শিশুর মাথাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। খুনের পর শিশুটির দেহাংশ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে রেলবস্তি লাগোয়া ঝোঁপে ফেলে যায় আততায়ীরা। শুক্রবার মেয়ের অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিল মা, এতদিনে শিশুটির দেহাংশ উদ্ধার হল। তবে কাটা মুণ্ডুটির খোঁজ মেলেনি। আরও পড়ুন-ক্রিকেট নিয়ে বাদানুবাদ, সহপাঠীকে কাঁচি বিঁধিয়ে খুন করল দশম শ্রেণির পড়ুয়া
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের একজন ২০১৫-তে নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে জেলে যায়। সম্প্রতি সে ছাড়া পেয়েছে। আর ছাড়া পেয়েই ফের নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জামশেদপুর রেল স্টেশনেই মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল শিশুটি। রাতে ঘুমের মধ্যেই তাকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। ঘুমন্ত মা বুঝতেই পারেননি যে একরত্তি মেয়ের জীবনে নেমে আসছে বিপদের করাল ছায়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মেয়ের খোঁজ করেন তিনি। না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। বলেন, পুরুলিয়া থেকে স্বামীর ঘর ছেড়ে যার হাত ধরে চলে এসেছিলেন সেই ব্যক্তিই মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত। পুলিশ ওই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে।
বলা বাহুল্য, দুধের শিশু যে অপহৃত হয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ ছিল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে মায়ের পাশ থেকে ঘুমন্ত শিশুটিকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে একজন। ওই ফুটেজের সূত্র ধরেই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ধৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে নেটিজেনরা। উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যে অপরাধীদের মানসিকতার কোনও বদল ঘটেনি তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে।