Omicron 3 Times More Transmissible: ডেল্টার থেকে ৩ গুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রন, জানাল কেন্দ্র

ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় আরও তিনগুণ বেশি সংক্রামক করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। মঙ্গলবার এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উদ্দেশ্য়ে এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, "বর্তমান বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে বলা যায়, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় তিনগুণ বেশি।

Covid-19 Cases In India (File Photo)

নতুন দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর: ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় আরও তিনগুণ বেশি সংক্রামক করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। মঙ্গলবার এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মর্মে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উদ্দেশ্য়ে এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, "বর্তমান বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে বলা যায়, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় তিনগুণ বেশি। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ডেল্টা আক্রান্তের সন্ধান রয়েছে।  সেকারণেই রাজ্য স্তর, জেলা স্তর ও স্থানীয়ভাবে এই প্রজাতির মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিয়ম আরোপ করুক প্রশাসন।"  তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে সচেতন হোক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এমনটাই চাইছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আরও পড়ুন-KMC Poll Result 2021 Live: তৃণমূলের কলকাতা, নতুন মেয়র শপথ নেবেন ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১২ টায়

এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ  প্রতিটি রাজ্যে ওয়ার রুম খোলার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। বলা হয়েছে, যত কমই হোক  ওমিক্রন সংক্রমণের দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। এ জন্য জেলা এবং ব্লক স্তরে অতি সক্রিয়তার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০। তার মধ্যে ৫৪ জন করে আক্রান্ত রয়েছেন মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে। তেলঙ্গানায় ২০, কর্নাটকে ১৯, রাজস্থানে ১৮, কেরালায় ১৫ এবং গুজরাতে ১৪ জন ওমিক্রন সংক্রমিতের সন্ধান মিলেছে।

এছাড়া তিনি কন্টেইনমেন্ট জোন করার ক্ষেত্রে বাফার জোন রাখার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। সে সব ক্ষেত্রে কড়া বিধি নিষেধ জারি রাখতে হবে। এ সব ক্লাস্টার থেকে মানুষের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে বাধ্যতামূলক ভাবে সময় নষ্ট না করে INSACOG গবেষণাগারে জিনোম সিকোয়োন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে হবে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সংক্রমণের বিষয়ে নজর রেখে রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করার দিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের সরবরাহ, ওষুধের জোগান ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপরেও।