Droupadi Murmu Swearing-In: ভারতের দরিদ্ররা শুধু স্বপ্নই দেখে না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারে: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে শপথ নেন তিনি। ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (Chief Justice of India NV Ramana) শপথবাক্য পাঠ করান দ্রৌপদী মুর্মুকে। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে (Rajghat) গিয়ে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে (Mahatma Gandhi) শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। সেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান। পরে রামনাথ কোবিন্দ ও দ্রৌপদী মুর্মু একইসঙ্গে সংসদ ভবনে আসেন।
নতুন দিল্লি, ২৫ জুলাই: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে শপথ নেন তিনি। ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (Chief Justice of India NV Ramana) শপথবাক্য পাঠ করান দ্রৌপদী মুর্মুকে। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে (Rajghat) গিয়ে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে (Mahatma Gandhi) শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। সেখানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানান। পরে রামনাথ কোবিন্দ ও দ্রৌপদী মুর্মু একইসঙ্গে সংসদ ভবনে আসেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের প্রথম উপজাতি এবং দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে ভারতের শীর্ষ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন ৬৪ বছরের দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন দ্রৌপদী মুর্মু। আরও পড়ুন: Droupadi Murmu Swearing-In: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু
রাষ্ট্রপতির ভাষণ:
- সংসদে দাঁড়িয়ে - সমস্ত ভারতীয়দের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকারের প্রতীক - আমি বিনীতভাবে আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনার বিশ্বাস এবং সমর্থন আমার এই নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য একটি বড় শক্তি হবে।
- আমি দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, যিনি স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীন ভারতের নাগরিকদের কাছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে হবে।
- রাষ্ট্রপতি পদে পৌঁছনো আমার ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্রের অর্জন। আমার মনোনয়ন প্রমাণ যে ভারতের দরিদ্ররা শুধু স্বপ্নই দেখতে পারে না সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারে।
- আমার কাছে এটা সন্তোষজনক যে যারা বছরের পর বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল, সেই দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী- তারা আমাকে তাদের প্রতিচ্ছবি হিসাবে দেখতে পারে। আমার মনোনয়নের পিছনে দরিদ্রদের আশীর্বাদ রয়েছে, এটি কোটি কোটি নারীর স্বপ্ন ও ক্ষমতার প্রতিফলন।
- ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী 'অমৃত কাল' উদযাপন করায় ভারত নতুন চিন্তাভাবনার সঙ্গে প্রস্তুত।
- সংসদীয় গণতন্ত্র হিসাবে ৭৫ বছরে ভারত অংশগ্রহণ ও ঐকমত্যের মাধ্যমে অগ্রগতির সংকল্পে এগিয়ে গিয়েছে।
- আমরা বহু ভাষা, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস ও রীতিনীতি মেনে 'এক ভারত - শ্রেষ্ঠ ভারত' গড়ে তুলছি।
- আমি চাই সমস্ত বোন ও কন্যারা আরও ক্ষমতাবান হোক। কারণ তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবদান বাড়িয়ে চলেছে।