Union Minister Giriraj Singh: ১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল: গিরিরাজ সিং

"১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে (Pakistan) পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।" মন্তব্য করে ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Union Minister Giriraj Singh)। তিনি বলেন, “পূর্ব পুরুষদের কর্মের ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশবাসীকে।” বিহারের (Bihar) পূর্ণিয়ায় এক সভায় তিনি বলেন, "এই সময়ই দেশের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার সময়। ১৯৪৭ সালের আগে মুহাম্মদ আলি জিন্না একটি ইসলামি দেশের কথা বলেছিলেন। আমাদের পূর্ব পুরুষরা যে কাজ করেছিলেন তার কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। সেই সময় যদি আমাদের মুসলিম ভাইদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হত ও হিন্দুদের এখানে আনা হত, তাহলে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হত না। যদি ভারতের বংশধররা এখানে আশ্রয় না পান তবে তারা কোথায় যাবে?" নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবারও বিতর্কিত মন্তব্য পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

গিরিরাজ সিং (Photo Credits: PTI)

পটনা, ২১ ফেব্রুয়ারি: "১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে (Pakistan) পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।" মন্তব্য করে ফের বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Union Minister Giriraj Singh)। তিনি বলেন, “পূর্ব পুরুষদের কর্মের ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশবাসীকে।” বিহারের (Bihar) পূর্ণিয়ায় এক সভায় তিনি বলেন, "এই সময়ই দেশের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার সময়। ১৯৪৭ সালের আগে মুহাম্মদ আলি জিন্না একটি ইসলামি দেশের কথা বলেছিলেন। আমাদের পূর্ব পুরুষরা যে কাজ করেছিলেন তার কর্মফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। সেই সময় যদি আমাদের মুসলিম ভাইদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হত ও হিন্দুদের এখানে আনা হত, তাহলে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হত না। যদি ভারতের বংশধররা এখানে আশ্রয় না পান তবে তারা কোথায় যাবে?" নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবারও বিতর্কিত মন্তব্য পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে মুসলিমদের একটি জনসভা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন গিরিরাজ। ওই জনসভাকে ‘আতঙ্কবাদ কি গঙ্গোত্রী’ বলেও আখ্যা দেন। বিশেষ করে যখন দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রবল আন্দোলন চলছে, সে সময় এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে দলকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। আরও পড়ুন: Anti-CAA Rally in Bengaluru: বেঙ্গালুরুতে আসাদউদ্দিন ওয়েসির সভামঞ্চে পাকিস্তানপন্থী স্লোগান, গ্রেফতার যুবতী

গিরিরাজের মন্তব্যে শোরগোল পড়লে তড়িঘড়ি তাঁকে ডেকে পাঠান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। কিন্তু তাতেও যে কোনও কাজ হয়নি, বুধবার গিরিরাজের মন্তব্যে ফের তা স্পষ্ট হল। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাস হওয়ার পর থেকেই ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ঘৃণ্য মন্তব্য করার ৬৫টি ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৬১টি করেছেন বিজেপির নেতারা। এর মধ্যে ছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, অনুরাগ ঠাকুর ও গিরিরাজ সিং। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিপুল সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক বিজেপি নেতা প্রবেশ বর্মা শাহিন বাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে সময়ও বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গিরিরাজ।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now