Snake Bite: ছোবল মারা সাপকে সঙ্গে বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় মহিলার

বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখাটা সবচেয়ে বড় কাজ। উপস্থিত বুদ্ধিটাও বিপদে খুব কাজে লাগে। এই দুটি জিনিস ঠিকঠাক করে জীবন বাঁচালেন মুম্বইয়ের এর মহিলা। বলিউডের শহরের ধাবেরি-র বালকিপুরি অঞ্চলে বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে বসে ব্রেকফাস্ট করছিলেন সেই মহিলা।

Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

মুম্বই, ১০ জুলাই: বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখাটা সবচেয়ে বড় কাজ। উপস্থিত বুদ্ধিটাও বিপদে খুব কাজে লাগে। এই দুটি জিনিস ঠিকঠাক করে জীবন বাঁচালেন মুম্বইয়ের এর মহিলা। বলিউডের শহরের ধাবেরি-র বালকিপুরি অঞ্চলে বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে বসে ব্রেকফাস্ট করছিলেন সেই মহিলা। কিন্তু বন্যায় ভেসে আসা এক বিষাক্ত সাপ লুকিয়ে ছিল মহিলার ঘরে।

ব্রেকফাস্ট টেবিলেই সেই মহিলার ১৮ বছরের মেয়েকে ছোবল মারে বিষাক্ত সাপটি। নিজে চোখে সেই ছোবল মারার ঘটনা দেখে অন্য অনেকের মত জ্ঞান হারাননি সেই মহিলা। তিনি তখনই বুঝেছিলেন , মেয়ের সঠিক এবং দ্রুত চিকিত্সার জন্য যেটা দরকার তা হল যে সাপটির বিষ শরীরে গিয়েছে, সেটি কী ধরনের সেটি জানা। আরও পড়ুন-'বদ্ধ' বিমানে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু টেকনিশিয়ানের

ডাক্তাররা যদি সাপের প্রজাতি জানতে পারেন, তাহলে সেইমত ওষুধ প্রয়োগ করে তার মেয়েকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কারণ সাপে মৃত্যুর বেশিরভাগটাই হয় সঠিক সময়ে চিকিতসার অভাবে। যার পিছনে থাকা কোন সাপ রোগীকে কামড়েছে তা বুঝতে না পারা।

আর তাই সেই মহিলা বিষাক্ত সাপটিকে লাফিয়ে গিয়ে ধরে ফেলেন। পরিবারের সবাই রে রে করে ওঠেন। সাপটিও পাল্টা কামড় দেয় মহিলাকে। কিন্তু মেয়ের জীবন বাঁচাতে তাতে পিছু পা না হয়ে, সাপটিকে না ছেড়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে সামনের হাসপাতালে যান সেই মহিলা। যে ট্যাক্সিতে চড়ে মহিলা তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান, সেটা দেখে সবাই অবাক। কারণ সেখানে বিষাক্ত সাপকে ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই মহিলা। হাসপাতালে গিয়ে সেই মহিলা হাসপাতাল কর্মীদের হাতে সাপটি তুলে দেন।

মহিলার উপস্থিত বুদ্ধির কারণে বিপদ কাটিয়ে ওঠে তার মেয়ে। সেই মহিলার দেহ থেকেও সাপের বিষ বের করা হয়। ডাক্তাররা জানান, সাপটিকে সঙ্গে নিয়ে আসায় চিকিত্সায় দ্রুততা আসে। রাসেল ভাইপার বিষাক্ত সাপটি-র ছোবল খাওয়া মা ও মেয়েকে আগামী চার দিন ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।