খোলা ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ একরত্তি, মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য
বৃষ্টির মধ্যে খোলা ম্যানহোলে পড়ে তলিয়ে গল দেড় বছরের শিশুপুত্র। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিখোঁজ শিশুর কোনও সন্ধান মেলেনি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বৃহন্মুম্বই পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিখোঁজ শিশুর অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
গোরেগাঁও, ১২ জুলাই: বৃষ্টির মধ্যে খোলা ম্যানহোলে পড়ে তলিয়ে গল দেড় বছরের শিশুপুত্র। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও নিখোঁজ শিশুর কোনও সন্ধান মেলেনি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বৃহন্মুম্বই পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নিখোঁজ শিশুর অভিভাবক ও স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকেই মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার বলি হল ওই একরত্তি। কী করে শহরের ব্যস্ততম রাস্তার ম্যানহোল ঢাকনা হীন রইল, তানিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের শহরতলি গোরেগাঁওয়ের আম্বেদকর নগরে। আরও পড়ুন-দলিতকে বিয়ে করায় বিজেপি বিধায়ক বাবার খুনের হুমকি মেয়ে-জামাইকে, বাঁচানোর আবেদনে ভিডিও বিধায়কের মেয়ের
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে শিশুটিক উদ্ধারের কাজ চলছে। মেডিক্যাল টিম, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুরসভার লোকজন শিশুটির পরিজনরা রয়েছেন। এখন ম্যানহোল গুলিতে প্লাস্টিকের ঢাকনা দেওয়া থাকে। বৃষ্টি হলেই সেই ঢাকনা সহজেই জলে ধুয়ে চলে যায়। বলা বাহুল্য, শিশুটি যে পড়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে কেউ ছিলেন না। সিসিটিভি ফুটেজে বিষয়টি দেখেই সবার টনক নড়ে। শুরু হয় খোঁজখবর। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হতে মুম্বই দমকল বাহিনী এসে কাজ শুরু করে। দমকলের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স এবং একটি মেডিক্যাল টিমও। ডিজাসটার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের এক মুখপাত্র জানান, তখন বেশ রাত হয়েছে। ঘরের বাইরে একাই বেরিয়ে পড়েছিল বাচ্চা ছেলেটা। ঘুরতে ঘুরতে গোরেগাঁও-মালাড রোডের একটি খোলা নর্দমায় পড়ে যায় সে।
নিখোঁজ শিশুর নাম দিব্যাংশু, তার বাবা সূরয সিং (Suraj Singh) ও মা সন্ধ্যা (Sandha)। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। এরা হল সোনালি (Sonali), সিদ্ধান্ত (Siddhant)ও দিব্যাংশু (Divyansh)। দিব্যাংশু সবার ছোট, ঘটনাস্থলের অদূরেই এক বস্তিতে থাকে পরিবারটি। ছেলে তলিয়ে গিয়েছে জানার পর থেকেই ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন মা সন্ধ্যাদেবী। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে সরকারের দিকে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবম কংগ্রেস দাবি করেছে, ওই এলাকার পুর-দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরই গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এলাকার মেয়রের দাবি, এমন কোনও ঘটনা যে ঘটেছে তা তিনি জানেনই না।