Mumbai- Live-in Relationship and Murder: মামা-ভাগ্নীর পরিচয়ে মনোজের সঙ্গে একত্রবাস করতেন সরস্বতী, মুম্বই খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
মুম্বইয়ের বোরিভলিতে থাকার সময় মনোজর সাহানির সঙ্গে পরিচয় হয় সরস্বতী বিদ্যার। ২০১৪ সালে বোরিভলির ওই রেশনের দোকানে কাজ করতেন মনোজ সাহানি। সেখান থেকেই সরস্বতীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়।
মুম্বই, ৯ জুন: মনোজ সাহানি সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে শেষ পর্যন্ত যে এই পরিণতি হবে,তা বোধ হয় কল্পনাও করতে পারেননি সরস্বতী বিদ্যা। স্কুলছুট হয়ে আহমেদনগরের একটি অনাথ আশ্রমে বড় হন সরস্বতী বিদ্যা। যেখানে বড় হয়েছেন, সেইঅনাথ আশ্রমে সরস্বতী মনোজ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন। অনাথ আশ্রমে সরস্বতী জানান, মুম্বইয়ের থানের মীরা রোডের ফ্ল্য়াটে মামার সঙ্গে থাকছেন তিনি। তাঁর মামার কাপড়ের মিল রয়েছে। অনেক টাকাপয়সার মালিক তিনি। সেই কারণে মীরা রোডের ফ্ল্যাটে তিনি মামার সঙ্গে থাকছেন বলে জানান সরস্বতী বিদ্যা। তবে গত ২ বছর আগে যখন অনাথ আশ্রমে শেষবারের মত যান সরস্বতী বিদ্যা, সেই সময় তাঁকে সেখানকার কর্মীদের খুব একটা খুশি মনে হয়নি বলে জানান অনাথ আশ্রমের কর্মীরা। তবে কী কারণে সরস্বতী মনমরা হয়ে ছিলেন, সে বিষয়ে অনাথ আশ্রমের কর্মী বা আবাসিকদের তিনি কিছু জানাননি বলে খবর।
মুম্বইয়ের বোরিভলিতে থাকার সময় মনোজর সাহানির সঙ্গে পরিচয় হয় সরস্বতী বিদ্যার। ২০১৪ সালে বোরিভলির ওই রেশনের দোকানে কাজ করতেন মনোজ সাহানি। সেখান থেকেই সরস্বতীর সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁরা দুজনের কেউ বিয়ে করেননি এবং একই সম্প্রদায়ের বলে জানা যায়। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হলে, মনোজ সাহানির সঙ্গে সরস্বতী মীরা রোডের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন। তারপর ওই ফ্ল্যাটেই সরস্বতীর মৃত্যু এবং তাঁর দেহাংশ টুকরো করেন মনোজ সাহানি।
যদিও পুলিশি জেরার মুখে সাহানির দাবি, সরস্বতী বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। তিনি শুধু তাঁর দেহাংশ টুকরো করেছেন গ্রেফতারি এড়াতে। পুলিশ মনোজ সাহানির বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।