COVID-19 Infected Policeman: অত্যাধিক মানসিক চাপ, হাসপাতালের জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী কোভিড আক্রান্ত কনস্টেবল
এবার হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মোরাদাবাদ থানার প্রধান কনস্টেবল। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মোরাদাবাদের তীর্থঙ্কর মহাবীর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পাঁচতলার জানলা থেকে ঝাঁপ দেন কোভিড আক্রান্ত (Coronavirus Positive) ওই পুলিশকর্মী। মোরাদবাদা এসএসপি অফিসের কমপ্লেন্ট সেল জানায়, হাসপাতালের জানলায় দাঁড়িয়ে আছেন কোভিড রোগী, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। অভিযোগও জমা পড়েছে এনিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, গতমাসে ওই কনস্টেবলের শরীরে করোনার উপসর্গ মেলে। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচুর মানসিক চাপে ছিলেন ওই রোগী।
মোরাদাবাদ, ৭ সেপ্টেম্বর: এবার হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মোরাদাবাদ থানার প্রধান কনস্টেবল। রবিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মোরাদাবাদের তীর্থঙ্কর মহাবীর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পাঁচতলার জানলা থেকে ঝাঁপ দেন কোভিড আক্রান্ত (Coronavirus Positive) ওই পুলিশকর্মী। মোরাদবাদা এসএসপি অফিসের কমপ্লেন্ট সেল জানায়, হাসপাতালের জানলায় দাঁড়িয়ে আছেন কোভিড রোগী, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। অভিযোগও জমা পড়েছে এনিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, গতমাসে ওই কনস্টেবলের শরীরে করোনার উপসর্গ মেলে। এরপর গত ৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রচুর মানসিক চাপে ছিলেন ওই রোগী। হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়ান তিনি। এই প্রসঙ্গে মোরাদাবাদের এসএপি প্রভাকর চৌধুরি বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।
মৃত পুলিশকর্মী স্থানীয় বাদাউন এলাকার বাসিন্দা হলেও মোরাদাবাদের হনুমান নগরে থাকতেন। বরেলির সুভাষনগর এলাকায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা থাকেন। এর আগে করোনা আক্রান্ত আরও দুই রোগী একইভাবে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবার মহিলা। প্রভাকর চৌধুরি বলেন, “এটাই দুশ্চিন্তার যে তীর্থঙ্কর মহাবীর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কোবিড রোগীরাই আত্মঘাতী হচ্ছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছি। এই ঘটনায় পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আরও পড়ুন- Delhi Metro: করোনাভাইরাস লকডাউনে ৫ মাস বন্ধের পরে রাজধানীতে চালু মেট্রো পরিষেবা
এই প্রসঙ্গে মোরাদাবাদের কোভিড-১৯ সেন্টারের নোডাল অফিসার ডাক্তার ভিকে সিং বলেছেন, “গত ৪ তারিখে করোনা আক্রান্ত প্রধান কনস্টেবল এই হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বেশ কয়েকবার হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসার কারণে তাঁর কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে এটা দুর্ভাগ্যের যে হাসপাতালের কর্মীদের শত চেষ্টাতেও তিনি নিজের জীবনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিলেন। নিরাপত্তার কারণেই এবার হাসপাতালের জানলাগুলিতে বসবে লোহার গ্রিল। ওই হাসপাতালে ২ হাজার ৬০০-রও বেশি কোভিড রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা মোরাদাবাদ, বিজনৌর, সম্ভল, রামপুর, এবং আমরোহা জেলার বাসিন্দা। প্রায় ২২০০ রোগী সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরেছেন।”