Rajasthan Shocker: ঠাকুরের তরোয়াল দিয়ে সাত বছরের ছোট্ট মেয়ের গলা কাটল কিশোরী

রাজস্থানের দুঙ্গাপুর জেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ঝিনঝাওয়া ফালা গ্রামের দশমাতা পুজো চলাকালীন সেখান থেকে তলোয়ার তুলে নিয়ে সাত বছরের ছোট্ট মেয়ের গলা কেটে খুন করল ১৫ বছরের এক উন্মুক্ত কিশোরী।

Pixabay)

জয়পুর, ২ অগাস্ট: রাজস্থানের দুঙ্গাপুর জেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ঝিনঝাওয়া ফালা গ্রামের দশমাতা পুজো চলাকালীন সেখান থেকে তলোয়ার তুলে নিয়ে সাত বছরের ছোট্ট মেয়ের গলা কেটে খুন করল ১৫ বছরের এক উন্মুক্ত কিশোরী। হোস্টেলে থেকে কিছুদিন আগেই ঘরে এসেছিল। সাধারণভাবে দুঙ্গারপুরে দশা মাতার পুজো করা হয় পরিবারের কল্যাণের জন্য। পরিবারের সবাই যখন প্রার্থনায় মগ্ন, সেই সুযোগে ঠাকুরের কাছে রাখা তলোয়ার নিয়ে ছুটে পালায় দশম শ্রেণিতে পড়া ওই কিশোরী। পুজোর দিন সকাল থেকেই সে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। তারপর সেই তলোয়ার দিয়ে ঘরের ভিতর খাটে ঘুমন্ত সাত বছরের খুদের তলোয়ার দিয়ে মাথা কেটে দেয় সেই নাবালিকা। গত দু দিন ধরেই সে অস্বাভাবিক ব্যবহার করছিল বলে তার বাড়ির লোক জানায়। এমনকী গত দু দিন সে কিছু খায়নি বলেও জানা গিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুজো চলাকালীনই সবার অলক্ষে উঠে চলে অন্য একটি ঘরে চলে যায় সেই কিশোরী। তারপর পুজোর জায়গা থেকে একটি তরোয়াল নিয়ে পাগলের মতো তা ঘোরাতে থাকে। বাড়ির মেয়ের এমন রুদ্র মূর্তি দেখে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান সবাই। অনেক চেষ্টা করেও তাকে থামানো যায়নি। ছুটে গিয়ে সে তরোয়াল নিয়ে চলে যায় অন্য একটি ঘরে। সেখানে ছিল তার ৭ বছরের ভাইজি বর্ষা। তারপর প্রায় উন্মত্ত কিশোরী তরোয়াল চালিয়ে দেয় বর্ষার গলায়। সঙ্গে থেকে তার মাথা ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। আরও পড়ুন-‘রাম’ খোদাই করা পাথর ভাসছে নদীর জলে, উত্তর প্রদেশে শোরগোল

পুলিশ সেই কিশোরীকে আটক করেছে। সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে বলে খবর। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর, সে বলতে থাকে সবাইকে শেষ করে দেবে। ডাক্তারদের পর্যক্ষণে ওই কিশোরীকে রাখা হয়েছে।