চাপে রেখে কুলভূষণ যাদবকে দিয়ে মিথ্যে বলিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান
অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা কর্তা কুলভূষণ যাদবকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান। তাঁকে যতেষ্টই চাপে রাখা হয়েছে। ২০১৬-তে গ্রেপ্তারির পর এতদিনে ভারতীয় কূটনীতিকরা কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন। মূলত আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ মেনেই কলভূষণ যাদব কেসে ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দিল পাকিস্তান। এমনিতে এই প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাকে ভারতের গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে ফাঁসির বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল ইসলামাবাদ।
দিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর: অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা কর্তা কুলভূষণ যাদবকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান। তাঁকে যতেষ্টই চাপে রাখা হয়েছে। ২০১৬-তে গ্রেপ্তারির পর এতদিনে ভারতীয় কূটনীতিকরা কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন। মূলত আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ মেনেই কলভূষণ যাদব কেসে ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দিল পাকিস্তান। এমনিতে এই প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাকে ভারতের গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে ফাঁসির বন্দোবস্ত করে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। তবে সঙ্গে সঙ্গে ভারতের তরফে আন্তর্জাতিক আদালতে জানানো হলে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। গত ১৭ জুলাই পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কুলভূষণ যাদবকে ফাঁসি দেওয়া যাবে না।
এমনকী তাঁর সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকরা যাতে দেখা করতে পারেন, তার জন্য কনস্যুলার অ্যাকসেস (consular access) ও দিতে হবে। এরপর জুলাইতেই কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয় পাকিস্তান। সঙ্গে জুড়ে দেয় এক গাদা শর্ত। সেসব দেখেই পিছু হটে ভারত। সেই শর্ত অনুযায়ী, ইসলামাবাদে যখন কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকরা দেখা করবেন, তখন সেখানে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। শুধু তাই নয়, গোটা সাক্ষাৎ পর্বই সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখা হবে। কিন্তু বৈঠকের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে পাক বিদেশমন্ত্রকের এই সব শর্ত মেনে নেয়নি দিল্লি। তাই কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করার বিষয়টি বেশ কিছুটা দেরি হল। আরও পড়ুন-স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্মান জানাবে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন
গ্রেপ্তারির পর এতদিনে ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন কুলভূষণ যাদব। পাকিস্তানের হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়া এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। তার আগে অবশ্য পাক বিদেশমন্ত্রকে গিয়ে ওই মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জলের সঙ্গে বৈঠক করেন আলুওয়ালিয়া। তাঁরপর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারকে জানান, পাকিস্তান নিজের দাবিকে সিলমোহর দিতে কুলভূষণের থেকে মিথ্যে কথা বলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে, এখনও চার্জ দ্য অ্যাফায়ার্সের থেকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট মেলেনি। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আন্তজার্তিক আইন আদালতের ((ICJ) দ্বারস্থ হবে ভারত।