Delhi Fire: কাকভোরে আগুনের গ্রাসে রাজধানীর ব্যাটারি কারখানা, বিস্ফোরণের জেরে আটক কর্মীদের উদ্ধারে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন

বছর শুরুতেও জ্বলছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পশ্চিম দিল্লির উদ্যোগনগরে পিরাগারহির (Peeragarhi area) একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুন (Massive fire) লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। চলছে আগুন নেভানোর কাজ। এরমধ্যেই বিকট বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে কারখানার একটি অংশ। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে আটকে পড়েন দমকলকর্মীরাও। আগুন নেভানোর কাজ চলছে জোরকদমে। গত ডিসেম্বরেই বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে দিল্লিতে। পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগে একটি প্লাইউডের কারখানায়।

রাজধানীর ব্যাটারি কারখানায় আগুন(Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২ জানুয়ারি:  বছর শুরুতেও জ্বলছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পশ্চিম দিল্লির উদ্যোগনগরে পিরাগারহির (Peeragarhi area) একটি কারখানায় ভয়াবহ আগুন (Massive fire) লাগে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। চলছে আগুন নেভানোর কাজ। এরমধ্যেই বিকট বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে কারখানার একটি অংশ। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়ে আটকে পড়েন দমকলকর্মীরাও। আগুন নেভানোর কাজ চলছে জোরকদমে। গত ডিসেম্বরেই বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে দিল্লিতে। পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগে একটি প্লাইউডের কারখানায়। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কিরারা এলাকায় একটি কাপড়ের গুদামে আগুন লেগে মৃত্যু হয় ৯ জনের, আহত হন ১০ জন।

উল্লেখ্য এর আগে দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডি এলাকার চারতলা বাড়ির তিনতলায় আগুন লাগে। সেই সময় বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা। ব্যাগ, জুতো তৈরির ওই কারখানায় প্লাস্টিক, রেক্সিনের মতো দাহ্য বস্তু জমা করা ছিল প্রচুর পরিমাণে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনতলা ও চারতলায়। দরজা, জানলা বন্ধ থাকার কারণে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি অধিকাংশই। ঝলসে যান অন্তত ৬৩ জন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার ভিতরে বিদ্যুতের লাইনে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগে যায়। তারপর দাহ্য বস্তু থেকে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার মালিক রেহান ও ম্যানেজার ফুরকানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও পড়ুন-Bhima Koregaon 202nd Anniversary: ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের ২০২ বছর পূর্তিতে ভীমা কোরেগাঁওয়ে ৫ লক্ষ দলিতের জমায়েত, অশান্তি এড়াতে বন্ধ ইন্টারনেট

আজকের ঘটনাস্থল ওই ব্যাটারি কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থের হদিশ মিলেছে। দমকল সূত্রে খবর, এই কারণেই আগুন বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কারখানার বাকি অংশে। খসে পড়ছে কংক্রিটের চাঙড়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। পরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পৌঁছয় আরও ২৮টি ইঞ্জিন। প্রাণহানির খবর এখনও অবধি মেলেনি। ধ্বংসস্তুপে অনেকের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে বলেছেন, “এই ঘটনায় আমি দুঃখিত। কারখানায় আটকে থাকা লোকজনকে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।”