স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের থার্ড ডিগ্রির শিকার নির্যাতিতার স্বামী
আক্রান্ত ব্যক্তি স্ত্রিকে নিয়ে মটরবাইকে চড়ে বেরিয়েছিলেন। পথেই তাঁর স্ত্রীকে জোর করে বাই ক থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয় তিন যুবক। স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বাধা দিতে গিয়ে গণ প্রহারের মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। বেধড়ক মারধরের পর ধর্ষকের দল ওই যুবককে পথে ফেলেই উধাও হয়ে যায়।
উত্তরপ্রদেশ, ৮ জুলাই: স্ত্রীকে গণধর্ষণ (Gang Raped) করা হয়েছে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মারধরের শিকার হলেন যুবক। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরি (UP-Mainpuri)এলাকার বিচ্ছান থানায়। আক্রান্ত ব্যক্তি স্ত্রিকে নিয়ে মটরবাইকে চড়ে বেরিয়েছিলেন। পথেই তাঁর স্ত্রীকে জোর করে বাই ক থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয় তিন যুবক। স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছে দেখে বাধা দিতে গিয়ে গণ প্রহারের মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। বেধড়ক মারধরের পর ধর্ষকের দল ওই যুবককে পথে ফেলেই উধাও হয়ে যায়। আরও পড়ুন- Agra Bus Accident: যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে ২৯ জনের মৃত্যু, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
এদিকে জ্ঞান ফিরলে আক্রান্ত যুবক নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ জানাতে যান। গিয়ে বলেন, তাঁর স্ত্রীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীদের একটা দল। বাধা দিতে গিয়ে নিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। অভিযোগ, তাঁর কথা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ফের বিপত্তি। ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলছেন এটা ধরে নিয়ে অভিযোগকারীকেই বেধড়ক পেটাল পুলিশকর্মীরা। মারের দাপটে আক্রান্তে হাতে দুটি আঙুল ভেঙেছে। এতকিছুর মাঝে ওই নির্যাতিতা নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে পুলিশের কাছে থানায় কোনওক্রমে এসে পুরো বিষয়টা আবারও জানান। ধর্ষকরা যে তাঁকে কয়েক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। সেই বয়ান নথিভুক্তির পরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিতার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে যে পুলিশকর্মীর দল আক্রান্ত যুবকের কথা না শুনেই তাকে মারধর করেছে, তাদের শাস্তি কে দিচ্ছে, আদৌ শাস্তি হবে কি না তানিয়েও মুখ খোলেনি থানা। শুধু তাই নয় মারধরের বিষয়টি সম্পর্ণূ অস্বীকারও করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর বাকরুদ্ধ ওই দম্পতি, পরিবারটির উপর থেকে যেন ধর বয়ে গিয়েছে। স্ত্রী ধর্ষণের শিকার, স্বামী প্রহৃত। ধর্ষকরা তো মেরেছেই, তায় আইনের রক্ষকরাও মেরে হাড় ভেঙে দিয়েছে। এরপরেও দেশেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরে মানুষের আস্থা থাকবে। যোগীর রাজ্যের পুলিশের কর্মকাণ্ডে হতবাক সবাই।