Mumbai Shocker: ফার্মাসিস্টের দেওয়া ভুল ওষুধ খেয়ে মৃত বৃদ্ধ, গ্রেফতার অভিযুক্ত
ফার্মাসিস্টের কাছে গিয়ে অবসাদ ও মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য ওষুধ চেয়েছিলেন ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধের স্ত্রী। কিন্তু, অভিযোগ তাঁকে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ওযুধ বিক্রি করেছিলেন ওই ফার্মাসিস্ট। সেটা ১৫ দিন ধরে টানা খাওয়ার পর মৃত্যু হয় মুম্বইয়ের পারেল এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের।
মুম্বই: ফার্মাসিস্টের (Pharmacist) কাছে গিয়ে অবসাদ ও মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য ওষুধ (Anti-Depressant Drug) চেয়েছিলেন ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধের স্ত্রী। কিন্তু, অভিযোগ তাঁকে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ওযুধ (Methotrexate) বিক্রি করেছিলেন ওই ফার্মাসিস্ট। সেটা ১৫ দিন ধরে টানা খাওয়ার পর মৃত্যু হয় মুম্বইয়ের (Mumbai) পারেল (Parel) এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের। এর জেরে অভিযুক্ত ফার্মাসিস্টকে গ্রেফতার (Arrest) করে মুম্বই পুলিশ। যদিও তাঁকে আদালতে তোলার পর জামিন দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বইয়ের পারেল এলাকার বাসিন্দা ৬৪ বছরের জর্নাদন দইফোডের (Janardan Doiphode) স্ত্রী স্থানীয় একটি ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে অবসাদ দূর করার জন্য ওষুধ চান। কিন্তু, ওই ব্যক্তি তাঁকে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি আটকানোর ওষুধ দেন। যেটা টানা ১৫ দিন ধরে খাওয়ার পর কেইএম হাসপাতালে (KEM hospital) ভর্তি হন ওই বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রী। শনিবার সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু (death) হয় জনার্দনের। আর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁর স্ত্রী।
এরপরই অভিযুক্ত ফার্মাসিস্টের নামে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ছেলে নিনাদ দইফোডে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজনের ভুলের জন্য আমি আমার সমর্থনের স্তম্ভকে হারিয়েছি। এখন আইনই যা করার করবে। কিন্তু, কোনওভাবে কী আমার বাবাকে ফিরিয়ে আনা যাবে? এই মানসিক কষ্ট নিয়ে আমি কীভাবে বেঁচে থাকব?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফার্মাসিস্টের নাম মাঙ্গায়া গাওদে। তিনি কেইএম হাসপাতালের বাইরে ভারতীয় জেনেরিক ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্টের কাজ করেন। তাঁর কাছে গিয়ে জনার্দনের স্ত্রী অবসাদ দূর করার ওষুধ চাইলে তাঁকে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধ দেন অভিযুক্ত। ওই মহিলা তাঁকে ওষুধের নাম অন্য বললেও ওই ফার্মাসিস্ট জানান এটা অবসাদ দূর করার জেনেরিক ওষুধ। আরও পড়ুন: NE Assembly Election Result 2023: প্রধানমন্ত্রী মোদীর উন্নয়ন যজ্ঞের ফলেই উত্তর-পূর্বে ভাল ফল বিজেপির, মন্তব্য রিজিজুর