General Elections 2024: লোকসভা নির্বাচনের টাকা নয় কয়েনে ২৫ হাজার সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দিলেন এক ব্যক্তি
তিনি প্রথমে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট নেওয়ার কথা জানালেও তারা তাকে জানান, সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়ার কোনো বিধান নেই।
জব্বলপুর: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করা জব্বলপুরের এক বাসিন্দা বুধবার মনোনয়ন ফর্ম গ্রহণের সময় সুরক্ষা আমানত বা সিকউরটি ডিপোজিট হিসাবে টাকা দেওয়ার জন্য ২৫,০০০ টাকার কয়েন নিয়ে জেলা কালেক্টরের অফিসে পৌঁছান। জব্বলপুরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে চান বিনয় চক্রবর্তী। তিনি ১০, ৫ ও ২ টাকার কয়েনে ২৫ হাজার টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট দেন। চক্রবর্তীর কাছে ফর্ম কেনার জন্য সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে নগদে অর্থ সেই মুহূর্তে ছিল না। তিনি প্রথমে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট নেওয়ার কথা জানালেও তারা তাকে জানান, সিকিউরিটি ডিপোজিটের টাকা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এরপর কিছুক্ষণ গিয়ে বস্তা ভর্তি কয়েন নিয়ে ফিরে আসেন তিনি। Loksabha Election 2024: 'শক্তি' মন্তব্যের জের, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ বিজেপির
ঘণ্টাখানেক পর আধিকারিকরা হিসেব করে দেখলেন, সেই কয়েনের বস্তায় রয়েছে ২৪,৭০০ টাকা, ৩০০ টাকা কম। চক্রবর্তী বাকিটা নোটে জমা দিয়ে নিজের ফর্ম ঘরে নিয়ে যান। এই প্রসঙ্গে চক্রবর্তী বলেন, কালেক্টরের অফিসে ডিজিটালি বা অনলাইনে পেমেন্ট করার কোনও সুবিধা না থাকায় তিনি কয়েনে টাকা মিটিয়ে দেন। তিনি বলেন, 'আমি ১০, ৫ ও ২ টাকার কয়েনে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে লড়তে চাই।' জব্বলপুর জেলার রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক দীপক কুমার সাক্সেনা সাংবাদিকদের জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীর কয়েনে টাকা জমা পড়েছে এবং তাঁকে রসিদ দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় মধ্যপ্রদেশের হাফ ডজন আসনে ভোট হবে। মধ্যপ্রদেশে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের অক্টোবরে ৫২ বছরের এক ব্যক্তি দাতিয়ার সেউদায় রিটার্নিং অফিসারের অফিসে দু'টি বস্তায় ১০ হাজার টাকার কয়েন নিয়ে যান ভোটে দাঁড়াতে। তিনি যদিও ভোটে হেরে যান।