Man Decides To Sell House: করোনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন, প্রতিবেশীদের দুর্ব্যবহারে বাড়ি বিক্রির নোটিস দিলেন যুবক

মারণ রোগ করোনার সঙ্গে যুঝে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তবে সমাজ তাঁকে সুস্থভাবে বাঁচতে দিতে চায় না। সেকারণে পরিবার নিয়ে সেই সমাজ থেকেই চলে যেতে চাইলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপালের শিবপুরী এলাকার। এই করোনার বাজারে নিজের বাড়ির ব্যালকনিতে ঝুলিয়েছেন পোস্টার। তাতে লেখা, বাড়ি বিক্রি আছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি বলেন, সুস্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু প্রতিবেশীরা আমাদের একঘরে করে দিয়েছে। সবাই সামাজিকভাবে বয়কট করেছে গোটা পরিবারকে। এমনভাবে বাঁচা তো যায় না। তাই বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাড়ি বিক্রির নোটিস (Photo Credits: ANI)

ভোপাল, ১৩ এপ্রিল: মারণ রোগ করোনার সঙ্গে যুঝে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তবে সমাজ তাঁকে সুস্থভাবে বাঁচতে দিতে চায় না। সেকারণে পরিবার নিয়ে সেই সমাজ থেকেই চলে যেতে চাইলেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপালের শিবপুরী এলাকার। এই করোনার বাজারে নিজের বাড়ির ব্যালকনিতে ঝুলিয়েছেন পোস্টার। তাতে লেখা, বাড়ি বিক্রি আছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ব্যক্তি বলেন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু প্রতিবেশীরা আমাদের একঘরে করে দিয়েছে। সবাই সামাজিকভাবে বয়কট করেছে গোটা পরিবারকে। এমনভাবে বাঁচা তো যায় না। তাই বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, “আমার প্রতিবেশীরা বাকিদের বলেছে তারা যেন আমার যে পথ দিয়ে যাই, সেই পথ ব্যবহার না করে। যিনি দুধ দিতেন, তাঁকেও আমাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দিয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এই বাড়িতে দুধ বিক্রি বাকিরা আক্রান্ত হবে। বাঁচতে গেলে আমাদের তো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য জরুরি। সেকারণেই বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” আরও পড়ুন- Coronavirus Outbreak: মারণ ভাইরাসের থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অটোমাবাইল সেক্টর, মার্চেই বিক্রি কমল ১৮ শতাংশ

ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরাও এই একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। মূলত তাঁদের দায়িত্ব ও ভ্রমণের ইতিহাস জেনেই একাজ করছে প্রতিবেশীরা। বাড়ি ফিরে প্রায় একঘরে হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। রাস্তাঘাট ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। নয়ডা ও দিল্লির স্বাস্থ্যকর্মীরাও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আর মধ্যে প্রদেশে এনিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যার বিচারে দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ।