Covid Vaccine: ভ্যাকসিন নেওয়ার ভয়ে আধার কার্ড নিয়ে গাছে চড়ে বসলেন ব্যক্তি
কিছুতেই ভ্যাকসিন নেবেন না। এদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীরা একজনকেও টিকাকরণের বাইরে রাখতে নারাজ। যতই হোক টিকাকরণই হল করোনা ভ্যাকসিন থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিন্তু কে শোনে এসব কথা। ভ্যাকসিন নেবো না, মানে নেবো না। আর ভ্যাকসিন নেওয়ার সোজা গাছে চড়ে গেলেন এক ব্যক্তি।
ভোপাল, ২৬ জুন: কিছুতেই ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেবেন না। এদিকে, স্বাস্থ্যকর্মীরা একজনকেও টিকাকরণের বাইরে রাখতে নারাজ। যতই হোক টিকাকরণই হল করোনা ভ্যাকসিন থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। কিন্তু কে শোনে এসব কথা। ভ্যাকসিন নেবো না, মানে নেবো না। আর ভ্যাকসিন নেওয়ার সোজা গাছে চড়ে গেলেন এক ব্যক্তি। এবার দে, কে দিবি, গাছে উঠে তো ভ্যাকসিন দেওয়া যায় না। আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্ৰমণ নামল ৫০ হাজারের নীচে, কমল মৃত্যু সংখ্যাও
মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায় পাটানকলন গ্রামে হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র। সেই টিকাকরণ কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রামবাসীরা টিকা নিচ্ছেন। কিন্তু এই গ্রামরই বাসিন্দা কানওয়ারলাল টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে কিছুতেই রাজি হয় না। সবাই বোঝানোর চেষ্টা করলে, ভয়ে গাছে উঠে যায় সে। সঙ্গে নিজের ও তার স্ত্রী-রও আধার কার্ড নিয়ে রাখে সে। যাতে আধার কার্ড ছাড়া তার স্ত্রী-কেও টিকাকরণ করা না যায়। যদিও তার স্ত্রী কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে রাজিই ছিল।
গাছে উঠে বসে থাকা কানওয়ালরলালকে সবাই অনেক করে বোঝায়। স্বাস্থ্যকর্মীরাও বলেন, নেমে এসো ভয়ের কিছু নেই, ভ্যাকসিন করোনা থেকে বাঁচায়, এটা নিলে কোনও ক্ষতি হয় না, তেমন কোনও ব্যথা হয় না। তবু কিছুতেই সে গাছ থেকে নামেনি। তার সাফ কথা, সে টিকা নেবে না।
এই ঘটনা শুনে খুজনের ব্লকের অফিসার ডক্টর রাজীব সেই গ্রামে গিয়ে কানওয়ারলালের কাউন্সিলিং করেন। এখন সে টিকা নিতে রাজি হয়েছে। পরের বার গ্রামে টিকাকরণ কেন্দ্র হলে সে সবার আগে গিয়ে টিকা নেবে বলে কথা দিয়েছে। তার টিকা নিতে চায় এবার। কানওয়ারলালের টিকা নিয়ে অনেক ভুল ধারনা ছিল, যা কেটে গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান।