Kamlesh Tiwari Murder Case: গুলি করার আগে হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে ১৫ বার ছুরি মারে আততায়ীরা

হিন্দু সমাজ পার্টির (Hindu Samaj Party) নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে (Kamlesh Tiwari) গুলি করার আগে আততায়ীরা তাঁর শরীরের উপরিভাগে ১৫ বার এলোপাথারি ছুড়ি চালিয়েছে। গলার নলি কাটতে দুবারষ ঘাড়ে সেই ক্ষত চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তাকারী অফিসাররা। একইভাবে বুক থেকে চিবুক পর্যন্ত অসংখ্য ছুরির কোপ দৃশ্যমান। এমন নৃশংসভাবে ছুরি চালানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিও চালায় আততায়ীরা। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট বলছে কমলেশ তিওয়ারির খুলির পিছনে একটি পয়েন্ট ৩২ গুলির হদিশ মিলেছে।

কমলেশ তিওয়ারি (Photo Credit: IANS)

লখনউ, ২৩ অক্টোবর: হিন্দু সমাজ পার্টির (Hindu Samaj Party) নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে (Kamlesh Tiwari) গুলি করার আগে আততায়ীরা তাঁর শরীরের উপরিভাগে ১৫ বার এলোপাথারি ছুড়ি চালিয়েছে। গলার নলি কাটতে দুবারষ ঘাড়ে সেই ক্ষত চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তাকারী অফিসাররা। একইভাবে বুক থেকে চিবুক পর্যন্ত অসংখ্য ছুরির কোপ দৃশ্যমান। এমন নৃশংসভাবে ছুরি চালানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলিও চালায় আততায়ীরা। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট বলছে কমলেশ তিওয়ারির খুলির পিছনে একটি পয়েন্ট ৩২ গুলির হদিশ মিলেছে। গত ১৮ তারিখে লখনউয়ের নাকা হিন্দোলার বাড়িতেই খুন হন এই হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা। তদন্তে নেমে মঙ্গলবারই গুজরাট-রাজস্থান সীমান্ত থেকে গুজরাট এটিএস দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযুক্তরা হল মইনউদ্দিন পাঠান ও আশফাক হাসান। উত্তরপ্রদেশে এটিএস এই খুনের তদন্তে নেমে বরেলি থেকেএক চক্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত কমলেশ তিওয়ারির খুনের ঘটনায় জড়িত বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের। এদিকে এই খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা শিব কুমার গুপ্তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কমলেশ তিওয়ারির মা। মৃত নেতার স্ত্রী কিরণ স্বামীর মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে অটল। সুবিচার না পেলে আত্মহননের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন-P Chidambaram Gets Bail in INX Media Case: স্বস্তিতে পি চিদাম্বরম, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জামিন পেলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিং বলেন, পুলিশ তাড়া করছে জেনে খুনিরা গত কয়েকদিন ধরে পালিয়ে বেড়িয়েছে। বরেলি থেকে শাহজাহানপুর অবধি তারা ছুটে বেড়াত। কোনও জায়গায় দু’-চারঘণ্টার বেশি থাকতে পারেনি। গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা জানিয়েছে, খুনিরা দু’জনেই সুরাটের বাসিন্দা। কয়েকদিন পালিয়ে বেড়ানোর পরে তাদের টাকাকড়ি ফুরিয়ে গিয়েছিল। তারা বাড়ির লোকজন ও বন্ধুদের ফোন করে। খুনিদের পরিচিত সকলের ফোনে পুলিশ আড়ি পাতছিল। খুনিরা ফোন করায় তাদের অবস্থান জেনে ফেলে পুলিশ। গুজরাত-রাজস্থান সীমান্তে শামলাজি অঞ্চল থেকে দু’জনে ধরা পড়ে।