Liquor And Paan Shops to Open in Green Zones: তৃতীয় দফার লকডাউনে গ্রিন জোনে খোলা থাকবে মদের দোকান

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) শুক্রবার করোনভাইরাস লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ের কথা ঘোষণা করেছে। ৪ মে থেকে আরও ২ সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে তৃতীয় পর্যায়ে লকডাউন চলাকালীন গ্রিন জোনে মদের দোকান (Liquor Stores) এবং পানের দোকান (Paan Shops) খোলা রাখা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দোকান খোলা থাকলেও কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে এবং দোকানে এক সঙ্গে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না।

An alcohol outlet | Image used for representational use. (Photo Credit: Youtube)

নতুন দিল্লি, ১ মে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs) শুক্রবার করোনভাইরাস লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ের কথা ঘোষণা করেছে। ৪ মে থেকে আরও ২ সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। তবে তৃতীয় পর্যায়ে লকডাউন চলাকালীন গ্রিন জোনে মদের দোকান (Liquor Stores) এবং পানের দোকান (Paan Shops) খোলা রাখা যাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, দোকান খোলা থাকলেও কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে এবং দোকানে এক সঙ্গে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না।

এছাড়া নির্দেশিকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে সব জোনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরেরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত জরুরি ছাড়া ব্যক্তি চলাচল নিষিদ্ধ। লকডাউন চলাকালীন সব জোনে ওপিডি, মেডিকেল ক্লিনিক সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে খোলা রাখা যাবে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কার্ফু বা অন্যান্য আইনানুগ বিধিনিষেধ জারি করতে পারবে। বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা (কো-মর্বিডিটি) রয়েছে, এমন ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা অত্যাবশ্যক কাজ বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা ছাড়া একেবারেই বাইরে বেরোতে পারবেন না। আরও পড়ুন: Lockdown: আরও ২ সপ্তাহের জন্য বাড়ল লকডাউন

এছাড়া সব বিষয়ের উপর বিধিনিষেধ রয়েছে, রেড জোনগুলিয় (কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে) তার সঙ্গে আরও কিছু অতিরিক্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে। রিকশা, অটো রিকশা, ট্যাক্সি বা ক্যাব জেলার ভিতরে চলাচল করা বাস চালানো যাবে না। এছাড়াও সেলুন, স্পা বন্ধ থাকবে। রেড জোনে যে সব কাজের জন্য বাইরে বেরনোর অনুমতি রয়েছে, সে সব কাজের জন্য ব্যক্তি বা যানবাহনের যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে। তবে চার চাকার গাড়িতে চালক ছাড়া আর দু’জন যেতে পারবে। বাইকে এক জনই আরোহী থাকবে।

শহরাঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড), রফতানির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান, শিল্প তালুক এবং গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম শিল্পনগরী চালু থাকবে। এছাড়া ওষুধ, চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম, সে সব তৈরির কাঁচামাল-সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পণ্য উৎপাদন শিল্প, যে সব কারখানা নিরন্তর চালু রাখতে হয়, সেগুলির সরবরাহ ব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের হার্ডওয়্যার উৎপাদন কারখানা, পাটশিল্প (সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে) এবং প্যাকেজিং সরঞ্জামের কারখানা। শহরাঞ্চলে নির্মাণকাজ চালানো যাবে, কিন্তু বাইরে থেকে শ্রমিক এনে নয়। চালানো যাবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পগুলিও।

রেডজোনের গ্রামাঞ্চলে শিল্প, নির্মাণ ও চাষের কাজে ছাড় থাকবে। নিয়ম মেনে কর্মীরা আসবেন। মনরেগা প্রকল্পের কাজ চলবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি ৩৩ শতাশ কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।