Kannauj Bus Fire: কনৌজে লরির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে ভয়াবহ আগুন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ২০
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড উত্তরপ্রদেশে। যাত্রীবোঝাই ডবল ডেকার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ লরির। এর জেরে দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। রাত সাড়ে নটা নাগাদ যখন ঘটনাটি ঘটে তখন বাসের বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমিয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন আগুনের অস্তিত্ব টের পেয়ে কোনওরকমে জানলা ভেঙে বা খোলা জানলা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়েছেন। তবে বেশিরভাগই ঘুমন্ত থাকায় আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ২১জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জ্
কনৌজ, ১১ জানুয়ারি: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড উত্তরপ্রদেশে। যাত্রীবোঝাই ডবল ডেকার বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ লরির। এর জেরে দুটি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। রাত সাড়ে নটা নাগাদ যখন ঘটনাটি ঘটে তখন বাসের বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমিয়েছিলেন। বেশ কয়েকজন আগুনের অস্তিত্ব টের পেয়ে কোনওরকমে জানলা ভেঙে বা খোলা জানলা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়েছেন। তবে বেশিরভাগই ঘুমন্ত থাকায় আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। ২১জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জ্বলন্ত বাসের মধ্যে এখনও অনেক যাত্রী রয়েছেন। তবে যতক্ষণ না আগুন নিভছে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব নয়। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ (Kannauj) জেলার চিলোই গ্রামের কাছে।
জানা গিয়েছে, কনৌজের ছিবরামাউ এলাকা থেকে বাসটি রাজস্থানের জয়পুরে যাচ্ছিল। জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, “অগ্নিদগ্ধ বাসটিতে ৪৩জন যাত্রী ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২৬জন যাত্রী গুরসহাইগঞ্জ থেকে বাসে চেপেছিলেন। বাকি ১৭জন ছিবরামাউ থেকেই বাসে ওঠেন। আগুন ধরার সময় যাত্রীদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনই কোনওক্রমে বাস থেকে পালাতে পেরেছিলেন।” দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের এক যাত্রী রামসেন জানিয়েছেন, “সবাই যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময়ই একটা ট্রাক তীব্র গতিতে উল্টোদিক থেকে এসে বাসের সামনে ধাক্কা মারে। চোখের সামেন বাসটাতে আগুন ধরে যায়। কোনও রকমে জানলার কাচ ভেঙে পালিয়ে এসেছি।” আরও পড়ুন-JNU Violence Case: জেএনইউ-র ক্যাম্পাসে হামলায় ছাত্রসংসদ নেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযু্ক্ত, দাবি দিল্লি পুলিশের
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জেলা শাসককে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত বাসের ভিতরে অনেকেই আটকে আছেন। ২১জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী রামনরেশ অগ্নিহোত্রীকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছি। কনৌজ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে রয়েছেন। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ঠিক কতজন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাসের মধ্যে রয়েছেন তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।” স্থানীয়দের দাবি, চাঁরাই প্রতম উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন, পুলিশ ও দমকল অনেক পরে এসেছে।