JNU Sedition Case: দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশদ্রোহিতা মামলার দ্রুত বিচারের কথা জানালেন কানহাইয়া কুমার
শুক্রবার জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের (Kanhaiya Kumar) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা (Sedition Case) করার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আপ সরকার (AAP)। কানহাইয়া কুমার এই মামলাকে স্বাগত জানিয়ে টুইটে লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও সরকারি অফিসারদের কাছে আমার আর্জি, আমার বিরুদ্ধে যেন দ্রুত বিচার হয়। টিভিতে নয়, কোর্টেই যেন আমার মামলার বিচার হয়। সত্যমেব জয়তে।" তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশদ্রোহিতার মামলা প্রায়শই করা হয়।
নতুন দিল্লি,২৯ ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের (Kanhaiya Kumar) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা (Sedition Case) করার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আপ সরকার (AAP)। কানহাইয়া কুমার এই মামলাকে স্বাগত জানিয়ে টুইটে লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও সরকারি অফিসারদের কাছে আমার আর্জি, আমার বিরুদ্ধে যেন দ্রুত বিচার হয়। টিভিতে নয়, কোর্টেই যেন আমার মামলার বিচার হয়। সত্যমেব জয়তে।" তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশদ্রোহিতার মামলা প্রায়শই করা হয়।
দীর্ঘদিন দিন ধরে কানহাইয়ার ওপর মামলা করার অপেক্ষায় ছিল পুলিশ। আপ সরকারের থেকে সবুজ সংকেত আসায় তা আর বাধা রইল না। সংসদ ভবনে হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর মৃত্যুদিনে জেএনইউ চত্বরে সভা হয়েছিল কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে। অভিযোগ, সেই সভায় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের ওই ঘটনায় কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দিল্লি সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল পুলিশ। গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল সরকার সেই অনুমতি দিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি পুলিশ কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে আবেদন করে। তবে দীর্ঘদিন সরকার অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি আদালত পুলিশকে বলে, তাড়াতাড়ি অনুমতি দেওয়ার জন্য আপ সরকারকে চিঠি দিন। সেইমতো চিঠি দেয় দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। তারপরেই দিল্লি সরকার অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন, দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
জেএনইউয়ের ঘটনায় এক বছর আগে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। তা ছিল ১২০০ পাতার। তাতে কানহাইয়া কুমার বাদে জেএনইউয়ের আরও দুই প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নাম করা হয়। আদালত সেই চার্জশিট গ্রাহ্য করেনি। ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত পুলিশকে বলে, চার্জশিট পেশের আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। গত সপ্তাহে আদালত বলে, অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকাল দেরি করতে পারে না। তারপর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।