JNU Fee Hike Protest: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষা হোয়াটসঅ্যাপ-ইমেলের মাধ্যমে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয়

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে (JNU Fee Hike Protest) উত্তাল হয়ে ওঠে জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (Jawaharlal Nehru University) চত্বর। উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু (Vice President Venkaiah Naidu) উপস্থিত থাকাকালীনই ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস (University Campus)। সাম্প্রতিক ফি-বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্যরা। এমনকী পুলিশের (Police) সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তারা। ঝুট-ঝামেলায় বন্ধ হয়ে যায় শেষ সেমেস্টারের পরীক্ষা। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষা প্রক্রিয়াই ফের শুরু করবার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে (JNU Fee Hike Protest) উত্তাল হয়ে ওঠে জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (Jawaharlal Nehru University) চত্বর। উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডু (Vice President Venkaiah Naidu) উপস্থিত থাকাকালীনই ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস (University Campus)। সাম্প্রতিক ফি-বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সদস্যরা। এমনকী পুলিশের (Police) সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তারা। ঝুট-ঝামেলায় বন্ধ হয়ে যায় শেষ সেমেস্টারের পরীক্ষা। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া পরীক্ষা প্রক্রিয়াই ফের শুরু করবার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এবং ইমেলের (E-Mail) মাধ্যমেই গ্রহণ করা হবে পরীক্ষা। সূত্রে খবর, শিক্ষকরা এমফিল এবং এমএ কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। শিক্ষার্থীরা আন্সার স্ক্রিপ্টগুলি ইমেইলের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে জমা করবে। গতকালই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং উপাচার্য সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বৈঠকের মাধ্যমেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকেই যায়। আরও পড়ুন: JNU: পিছু হটল জেএনইউ, বর্ধিত ফি খানিকটা প্রত্যাহার; পুরো প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ ছাত্রই দুঃস্থ পরিবার থেকে এখানে পড়াশুনো করতে আসে। তারা কীভাবে এখানে পড়াশোনা করবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রবিরোধী নীতি নিয়েছে। এমন দাবি তুলেই আন্দোলনে নেমে ছিলেন পড়ুয়ারা। অবশেষে লাগাতার আন্দোলনের জেরে নরম হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব আর সুব্রমনিয়াম ( R. Subrahmanyam) জানান, হোস্টেল ফি সহ অন্য দাবি দাওয়া বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া (Economically Weaker Sections) পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করতে চলেছে। ফি বৃদ্ধি ৩০ গুণ থেকে কমিয়ে ১০ গুণ করার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হস্টেলের রুম রেন্ট দাড়িয়েছে সিঙ্গল বেডের ক্ষেত্রে মাসিক ২০০ টাকা এবং ডাবল বেডের রুম শেয়ারের ক্ষেত্রে মাসিক ১০০ টাকা। অন্য যেসব ফি বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছিল, সেগুলিও অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই ফি-তে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও সেই ছাড় কতটা, সেটা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি নন পডু়য়ারা। তাঁদের দাবি, বৃদ্ধির পুরোটাই প্রত্যাহার করে আগের হারেই ফি নিতে হবে।



@endif