Jallikattu: মারণপ্রথা জাল্লিকাট্টুর জালে মাদুরাইতে জখম ৩১, হাসপাতালে শয্যা নিলেন ৬
বাংলায় চলছে পিঠেপুলি উৎসব। ওদিকে দক্ষিণ মেতে উঠেছে পোঙ্গালে (Pongal)। ১৫ দিন ব্যপী এই দক্ষিনী উৎসবে মেতে উঠেছে তামিলভূমের বহু রাজ্য। সেই সঙ্গেই পার্বণের বিভিন্ন রীতি রেওয়াজের মতই মানুষ সামিল হয়েছেন মারণপ্রথা জাল্লিকাট্টুতে (Jallikattu)। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বুধবার ষাঁড় বাগে আনতে লড়াইয়ের ময়দানে নামেন শত শত মানুষ। জেতার খবর চাওর না হলেও হার মেনে ৩১ যোদ্ধার জখম হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল নিমেষেই। সেই সঙ্গে খবর মিলেছে বেলা না পড়তেই হাসপাতালের শয্যা নিয়েছেন ৬ জন।
মাদুরাই, ১৫ জানুয়ারি: বাংলায় চলছে পিঠেপুলি উৎসব। ওদিকে দক্ষিণ মেতে উঠেছে পোঙ্গালে (Pongal)। ১৫ দিন ব্যপী এই দক্ষিনী উৎসবে মেতে উঠেছে তামিলভূমের বহু রাজ্য। সেই সঙ্গেই পার্বণের বিভিন্ন রীতি রেওয়াজের মতই মানুষ সামিল হয়েছেন মারণপ্রথা জাল্লিকাট্টুতে (Jallikattu)। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই বুধবার ষাঁড় বাগে আনতে লড়াইয়ের ময়দানে নামেন শত শত মানুষ। জেতার খবর চাওর না হলেও হার মেনে ৩১ যোদ্ধার জখম হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল নিমেষেই। সেই সঙ্গে খবর মিলেছে বেলা না পড়তেই হাসপাতালের শয্যা নিয়েছেন ৬ জন।
মাদুরাইয়ের অবনীয়াপুরমে জাল্লিকাট্টুতে অংশ নিয়ে ৩১ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এদিকে, মারাত্বক আহত হয়ে মাদুরাইয়ের রাজাজি হাসপাতালে শয্যা নিয়েছেন ৬ জন বলেই খবর মিলেছে এএনআই সূত্রে। দক্ষিণের প্রধান উৎসব পোঙ্গাল। যে উৎসবের অন্যতম অংশ জাল্লিকাট্টু। দাক্ষিণাত্যের প্রাচীন এই উৎসব পোঙ্গাল অন্যান্যবারের মতই অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে। জানা গিয়েছে, তামিল শহর মাদুরাইতে এবার জাল্লিকাট্টুতে লড়ছে ২০০০ ষাঁড়! যাদের মধ্যে ৭৩০টি ষাঁড় কেনা হয়েছে অবনীয়াপুরম পুরসভা থেকে। ৭০০টি ষাঁড় কেনা হয়েছে আলানগানলুর শহরথেকে। ৬৫০টি কেনা হয়েছে পালেমেডু শহর থেকে। দক্ষিণে পোঙ্গাল শুরু হয়েছে আজ অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি থেকে। উৎসব চলবে টানা ১৫ দিন। ৩১ তারিখ শেষ হবে অনুষ্ঠান। পোঙ্গল উৎসবে ষাঁড় ধরার খেলা জাল্লিকাট্টুর আয়োজন ঘিরে সরগরম তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)। সকাল সকাল লড়াইয়ের ময়দানে প্রথা মেনে নেমে পড়েন বহু অংশ গ্রহণকারী। মাদুরাইয়ের (Madurai) জেলাশাসক গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ২১ বছরের কম বয়সীদের পলমেডু এবং আলানগানাল্লারে অনুষ্ঠিত জাল্লিকট্টুতে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। অংশ নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অবশ্যই মনোনীত কেন্দ্রগুলিতে নাম নিবন্ধন করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ফিটনেস শংসাপত্র জমা দিতে হবে। এদিকে, ষাঁড় মালিকরা তাদের পশুদের অনেক আগে থাকতেই প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সারা বছরই তাদের এই উৎসবে অংশ গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই খেলা খেলতে গিয়ে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রথা বনাম হিংস্রতার বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে বেশ কিছু বছর। প্রথা–র সমর্থকরা বলছেন, ৫০০ বছর ধরে এই খেলা চলে আসছে। ‘হিংস্র’ বলে তা বন্ধ করা যাবে না। আর বিরোধীদের বক্তব্য, পশুদের ওপর হিংস্র আচরণ করা হয়। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত। আরও পড়ুন: Tamil Nadu: মাদুরাইতে জাল্লিকাট্টুতে লড়বে ২০০০ ষাঁড়!
দেখুন সেই ভয়ানক ষাঁড়-মানুষের লড়াই-
একটি ষাঁড়কে (Bull) ভিড়ের মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ ষাঁড়ের পিঠে উঠে তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। ষাঁড়ের সিং–এ লাগানো পতাকা (Flag) খোলার মধ্যেই শেষ হয় জাল্লিকাট্টু।